|
|
|
|
স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে মাছ চাষে জোর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
মৎস্যচাষে উৎপাদন বাড়িয়ে স্বনির্ভরতা আনতে বদ্ধপরিকর রাজ্যের মৎস্য দফতর। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের আলমপুরে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের পুকুরে মাছের চারা ছেড়ে এমনটাই বললেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। মৎস্যমন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের পুকুর, জলাশয়, ক্যানেলে মাছ চাষ করে মাছের উৎপাদন বাড়ানোয় জোর দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের নিজস্ব খাস জলাশয়গুলি লিজ নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে কেউ মাছ চাষ করতে চাইলে, মৎস্য দফতর তাতেও অনুমোদন দেবে। এ ছাড়াও প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের মাধ্যমে পুকুর খনন করে মাছ চাষের কথা বলেন মৎস্যমন্ত্রী।
সোমবার দু’দিনের ঝটিকাসফরে কাঁথি মহকুমার উপকূলের খটিগুলি পরিদর্শনে আসেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। সোমবার সন্ধ্যায় দিঘা মোহনায় দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সি ফুড ফেস্টিভ্যালে যান তিনি। |
|
মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। |
সেখানে জানান, বিশ্বব্যাঙ্কের আট কোটি টাকা আর্থিক অনুমোদনে একটি আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত আন্তজার্তিক মানের মাছের বাজার তৈরি করা হবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মন্ত্রী জেলার মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ দেবব্রত দাস-সহ মৎস্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে উপকূলের মৎস্যখটি গুলি পরিদর্শন করেন। দাদনপাত্রবাড়, নিউ জলধা মৎস্যখটিগুলিতে গিয়ে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে সামনাসামনি কথাবার্তা বলেন তিনি।
কাঁথি মহকুমা খটি মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক লক্ষ্মীনারায়ণ জানা অভিযোগ করেন, জেলার খেজুরি থেকে তালপাটি দিঘা পর্যন্ত ৪২টি মৎস্যখটিতে ৫০ হাজারের বেশি মৎস্যজীবী কাজ করলেও খটিগুলি আজ পর্যন্ত মৎস্য দফতরের হস্তান্তর হয়নি। মৎস্যজীবীদের পাট্টা দিতে না পারায় গীতাঞ্জলি প্রকল্পের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। খটিগুলিতে ন্যূনতম পরিকাঠামো নেই। পর্যাপ্ত শৌচাগার নেই। আশপাশে স্কুল নেই। মৎস্যজীবীদের সমস্যাগুলি দ্রুত সুরাহা করার প্রতিশ্রুতি দেন মৎস্যমন্ত্রী। এরপর মান্দারমনিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রণ ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশনের অষ্টম বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। |
|
|
|
|
|