দীর্ঘ দিন পরে নির্বাচন জেলা পরিকল্পনা কমিটিতে
জেলা পরিকল্পনা কমিটি-র নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার থেকে মনোনয়ন জমা নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এ দিন একটিও মনোনয়ন জমা পড়েনি। মনোনয়ন জমার শেষ তারিখ ৩১ জানুয়ারি। ২১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হওয়ার কথা। এই নির্বাচন প্রক্রিয়া খুব জটিল। বাম আমলে একাধিপত্য থাকায় এই কমিটিতে কোনও নির্বাচন হয়নি। এ বার জেলা পরিষদে একাধিপত্য রয়েছে তৃণমূলের। তবু নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই নির্বাচন পদ্ধতি এমনই যে জেলা পরিষদের ২ জন প্রতিনিধি নিয়েও সিপিএম একজন সদস্যকে নির্বাচিত করতে পারবে। আবার পুরসভাতেও সিপিএম ও তৃণমূলের অনেক কাউন্সিলর রয়েছেন। সেখান থেকেও এই কমিটিতে নির্বাচিত সদস্য নিয়ে আসার সম্ভাবনাও প্রবল। তাই কংগ্রেস অবশ্য নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সিপিএম এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানাতে নারাজ।
জেলা পরিকল্পনা কমিটির গুরুত্ব অপরিসীম। জেলার যাবতীয় সিদ্ধান্ত এই পরিকল্পনা কমিটির মাধ্যমেই অনুমোদন করা হয়। বিশেষত, ‘ব্যাকওয়ার্ড রিজিওন গ্রান্ট ফান্ড’-এর ক্ষেত্রে জেলা পরিকল্পনা কমিটির অনুমোদন ছাড়া কোনও বরাদ্দ মিলবে না। তা খরচও করা যাবে না। অর্থাৎ কমিটিতে থাকলে বিরোধীরা তাঁদের মতামতও জানাতে পারবেন। এই কমিটিতে মোট ৬০ জন সদস্য রয়েছে। তার মধ্যে ৪২ জন সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসবেন জেলা পরিষদ থেকে, ৬ জন সদস্য আসবেন পুরসভার কাউন্সিলরদের মধ্যে থেকে। আর বাকি ১২ জন সদস্য সরকার মনোনীত। যার মধ্যে অবশ্য দু’জন সদস্যের একজন হবেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। তিনি কমিটির চেয়ারম্যান। আর দ্বিতীয়জন জেলাশাসক। তিনি কমিটির সদস্য সচিব। বামফ্রন্টের সময়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই জয়ী হত বামফ্রন্ট। এ বার সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ৬৭ জন সদস্য রয়েছেন। একজনের সদস্যের ভোট মানে তা ১০০। আর নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুযায়ী, জেলা পরিষদের একজন সদস্য ১৫৭ পেলে তবেই তিনি জয়ী হবে। ৬৭ জন সদস্যের মধ্যে ১ জন কংগ্রেস ও ২ জন সিপিএমের সদস্য রয়েছেন। বাকি তৃণমূলের। ফলে সিপিএম প্রতিদ্বন্দ্বি তা করলে একজন সদস্যকে নির্বাচিত করতেই পারবেন। কারণ, তাঁদের হাতে ২টি ভোট রয়েছে। অর্থাৎ তা ২০০। অন্যদিকে জেলার ৮টি পুরসভার ১৩৮ জন সদস্য। অর্থাৎ ২৩ জন কাউন্সিলর থাকলে যে একজন সদস্যকে নির্বাচিত করা যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর মধ্যে বামফ্রন্টের ৩২ জন সদস্য রয়েছে। কংগ্রেসেরও প্রায় ২৩ জন সদস্য। ফলে এখান থেকেই ২-৩ জন সদস্য আসতেই পারে। ভোট প্রক্রিয়া যেহেতু জটিল, তাই কে কাকে প্রথম পছন্দ থেকে তালিকার শেষ পর্যন্ত রাখবেন তার উপরই নির্ভর করবে হার-জিত।
কংগ্রেসের জেলা পরিষদ সদস্য তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়ার বক্তব্য, “আমরা নির্বাচনে লড়ব। পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বিরোধী দলের মতামতও তো জরুরি। হারলে হারব।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। আর জেলা পরিষদের সিপিএম সদস্য রীতা জানা বলেন, “আমরা তো মাত্র ২ জন। এ বিষয়ে দল এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি।” তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষের কথায়, “গণতন্ত্রে সকলের নির্বাচনে লড়ার অধিকার রয়েছে। বিরোধীরা জিতলে কমিটি গুরুত্ব সহকারেই তাঁদের মতামত শুনবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.