তারস্বরে বাজছে সাউন্ডবক্স। পোরো নদীর পাড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্লাস্টিকের গ্লাস, থার্মোকলের থালা আর মদের বোতল। সমস্ত আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীতেও। এই ভাবেই চলছে শীতের মরসুমের পিকনিক। নজরদারি নেই বলে অভিযোগ। ক্ষুদ্ধ পরিবেশ প্রেমী সংগঠনগুলি। বন দফতর সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উত্তর ও দক্ষিণ পোর এলাকায় দুটি ইকো স্পট তৈরি করে বন দফতর। দায়িত্ব দেওয়া হয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে। দক্ষিণ পোরো ইকো স্পটটি লোকালয় সংলগ্ন হলেও উত্তর পোরো পিকনিক স্পটটি পোরোর জঙ্গলে। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে সেখানে বন্য জন্তুর আনাগোনা রয়েছে। প্রায়ই বুনো হাতি পিকনিক স্পট লাগোয়া এলাকায় দেখা যায়। ওই এলাকাগুলিতে বন দফতরের নজর এড়িয়ে নোংরা করে পিকনিক চলছে বলে অভিযোগ। |
পোরো নদী। ছবি: নারায়ণ দে। |
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা রবিবন্দ্র পাল সাইনি এ প্রসঙ্গে বলেন, “উত্তর পোরো পিকনিক স্পটটি জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়। সেখানে মাইক বাজানো হচ্ছে। আমি পিকনিক স্পটটি ঘুরে দেখেছি। নদীতেও ময়লা ফেলা হয়। পিকনিক স্পটের দায়িত্বে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে নির্দেশ দিয়েছি, এই ভাবে এলাকায় মাইকের ব্যবহার বন্ধ করতে। এ সবের পাশাপাশি, লাগোয়া পোরো নদীতে যাতে কোনও রকম আবর্জনা ফেলা না হয়, সেই দিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে।”
এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের চেয়াম্যান অমল দত্ত বলেন, “পিকনিক করতে আসা লোকজনেরা পোরো নদীতে মদের বোতল, চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ আর থার্মোকলের থালা গ্লাস ফেলে যাচ্ছে। এই নিয়ে বন দফতর স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দেখিয়ে দায় সারছে। ওই এলাকায় হাতিরা যাতায়াত করে। বন্য জন্তুরাও ঢোকে। ওই নোংরা আবর্জনা, কাঁচের বোতলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। আর নদী যেভাবে দূষিত হচ্ছে তা ভয়ানক।” পিকনিক স্পটের স্বনির্ভর গোষ্ঠী সদস্য রকি রাভা বলেন, “বন দফতরের নির্দেশ মেনে কাজ করার চেষ্টা করছি।” |