|
|
|
|
ভাইপোর জন্য ভোট-ময়দান ছাড়লেন গগৈয়ের ভাই
রাজীবাক্ষ রক্ষিত • গুয়াহাটি
২১ জানুয়ারি |
ভোটের ময়দানে ভাইপোকে লড়াইয়ের সুযোগ দিতে সরে দাঁড়ালেন তরুণ গগৈয়ের ভাই।
কাকা-ভাইপো দু’জনই বলছেন, কারও চাপ বা রাজনীতি নয়। ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তেই অসমের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে গৌরবকে কলিয়াবর কেন্দ্রে প্রার্থী করতে চান সেখানকার বর্তমান সাংসদ দীপ গগৈ।
গৌরব পড়া শেষ করে বিদেশ থেকে ফেরার পর থেকেই ‘সিনিয়র গগৈ’ তাঁকে রাজনীতির আখড়ায় নামানোর জন্য তৈরি করেছেন। গৌরব কখনও খেতে হাল ধরে কৃষির গুরুত্বের অভিযানে শামিল হয়েছেন। কখনও যুবকদের নিয়ে রাজনীতি ও বিদেশনীতি নিয়ে আলোচনার মঞ্চ গড়েছেন। সেই সঙ্গে চলেছে মাসিক ইংরেজি পত্রিকা সামলানোর কাজও। সোশ্যাল মিডিয়া ও নেটওয়র্কিং সাইট গৌরবের ‘অস্ত্র’। এমন কী বাবাকেও ট্যুইটার, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল নেটওয়র্কিং-এর আঙিনায় টেনে এনেছেন তিনি।
লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক নেতাদের আবেদন করতে নির্দেশ দিয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সে গুলি খতিয়ে দেখার পর কে, কোন কেন্দ্রে দলের টিকিটে নির্বাচনে লড়াইয়ের সুযোগ পাবেন, তা ঠিক করা হবে। গৌরবের কাকা দীপ গগৈও আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। জল্পনা চলছিল গৌরবের কেন্দ্র নিয়ে। গতকাল ছিল আবেদন দাখিল করার শেষ দিন। দেখা যায়, কাকার কেন্দ্র কলিয়াবরে লড়তে চেয়ে আবেদন করেছেন গৌরব। কিন্তু, তাঁর কাকা শেষ পর্যন্ত কোনও আবেদনপত্র জমা দেননি।
এ নিয়ে দীপবাবুর বক্তব্য, “গৌরব উচ্চশিক্ষিত, যোগ্যতর প্রার্থী। আমার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এলাকার উন্নয়ন এবং তরুণ প্রজন্মকে কাজ করার সুযোগ দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” গৌরব বলেন, “কলিয়াবরের উন্নয়নের জন্য আমরা দু’জনই একসঙ্গে কাজ করতে চাই।” তাঁর কথায়, “নতুন প্রজন্মে আম আদমি পার্টির জনপ্রিয়তা বাড়লেও, অসমে বিধানসভা ও পঞ্চায়েত ভোটের মতো লোকসভাতেও কংগ্রেসের আসন আগের চেয়ে বাড়বে।” কংগ্রেস সূত্রের খবর, কলিয়াবরে গৌরব ছাড়া দলের আরও তিনজন টিকিট প্রত্যাশী রয়েছেন।
রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবেদন দাখিল করা হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পবনসিংহ ঘাটোয়ার (ডিব্রুগড়), সাংসদ রানি নর (লখিমপুর), প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজয়কৃষ্ণ সন্দিকৈ (যোরহাট), দিফুর সাংসদ বীরেন সিংহ ইংতি, বিধায়ক ভূপেনকুমার বোরা (তেজপুর), বিধায়ক সুস্মিকা দেব ও মন্ত্রী দীনেশপ্রসাদ গোয়ালা (শিলচর)।
অসমের ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে বর্তমানে কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ৭টি আসন। গত কাল দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাহুল গাঁধী এ বারের নির্বাচনে গগৈকে ১২টি আসনে জেতার লক্ষ্য দিয়েছেন। আত্মবিশ্বাসী গগৈ বলছেন, “১২ তো বটেই, আমরা ১৪টি আসনেই জিততে পারি।”
রাজীব ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবারই আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হয়েছে। ১৩৮ জন নেতা আবেদন করেছেন। গুয়াহাটি কেন্দ্রের জন্য ১৮টি, বরপেটায় ১৭টি, মঙ্গলদৈ, নগাঁও, শিলচরে ১৬টি করে, ধুবুরিতে ১৪টি, কলিয়াবরে ৪টি, যোরহাটে ৬টি, লখিমপুরের জন্য ৩টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। ২১ জানুয়ারি প্রদেশ কংগ্রেসের নির্বাচন কমিটির বৈঠকে রাজ্যের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য তারপর সেটি নয়াদিল্লিতে এআইসিসি-র কাছে পাঠানো হবে।
দলীয় সূত্রের খবর, আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের প্রত্যেকর কাছ থেকে ফেরত অযোগ্য ২৫ হাজার টাকার ড্রাফ্ট জমা নিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। সেই হিসেবে আবেদনপত্র বিলি করে প্রদেশ কংগ্রেসের ঘরে এসেছে সাড়ে ৩৪ লক্ষ টাকা। |
|
|
|
|
|