|
|
|
|
উত্তর-পূর্ব |
উন্নয়ন প্রকল্পের খোঁজ মনমোহনের
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি
২১ জানুয়ারি |
উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে সে সব রাজ্যে নির্মীয়মান প্রকল্পগুলির সম্পর্কে জানলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।
উত্তর-পূর্বে কয়েকটি প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না-হওয়ায়, পরিকল্পনা কমিশনকে একটি তদারক কমিটি গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গেও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক হয়।
দু’টি বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে সব প্রকল্পের কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়ে রয়েছে, সে গুলি সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির বিকাশে পরিকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ । তা পূরণ করতে কেন্দ্র বদ্ধপরিকর। দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় রঙিয়া-মুরকংসেলেক রেলপথ, লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ, মণিপুর-মিজেরাম-অরুণাচল-মেঘালয়-ত্রিপুরায় রেলপথ সম্প্রসারণ, বগিবিল রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণ, আগরতলা থেকে কুমারগ্রাম ও সাব্রুম রেলপথ, জিরিবাম-টুপুল-ইম্ফল রেলপথের কাজ শেষ হবে বলে জানানো হয়েছে। তারমধ্যে, বগিবিল সেতু ২০১৬ সালে, নাহারলাগুন রেলপথ এ বছর ও লামডিং-শিলচর ব্রডগেজের কাজ ২০১৫ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। ওই সব রেলপথের জন্য চলতি অর্থবর্ষে আরও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে নামনি সুবনসিড়ি প্রকল্পের কাজ থম্কে যাওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়। ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পূর্ব-পশ্চিম সংযোগকারী ওই করিডরের কাজ ৮১ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ বছরের মধ্যে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু, অসমে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যা হওয়ায় কাজ আটকে রয়েছে। দ্রুত এই সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। ট্রান্স-অরুণাচল হাইওয়ে নির্মাণের ক্ষেত্রে ঢিমেতালে কাজ, গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর ও ইটানগর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ প্রকল্প থমকে থাকা, ‘অ্যাডভান্স্ড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড’ নিয়ে জটিলতা, বিভিন্ন বিদ্যুৎ প্রকল্পে পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র নিয়ে সমস্যা, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও বন্টন ব্যবস্থায় নানা প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরে কেন্দ্রের সাহায্য চান অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকি। |
|
|
|
|
|