এক লহমায় কমিয়ে দেওয়া হল বিমান টিকিটের দাম।
কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার বিমান ভাড়া যেখানে গড়ে ৫৮০০ টাকা ছিল, সেখানে তা নেমে এসেছে প্রায় ৩০০০ টাকায়। দাম কমানোর এই লড়াইয়ে দেশের কম খরচের বিমান পরিষেবা সংস্থার সঙ্গে সামিল হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ার ইন্ডিয়াও।
স্পাইসজেট ঘোষণা করেছে, মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার মাঝ রাত পর্যন্ত এই সস্তার টিকিট কেনা যাবে। তবে কাটা যাবে ২২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে ১৫ এপ্রিলের মাঝের টিকিট। সীমিত আসনের জন্যই এই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
লক্ষ্মীনারায়ণ ট্রাভেলস-এর জিএম দিব্যেন্দু ঘোষ বলেন, “স্পাইসজেটের এই ঘোষণার পরে ইন্ডিগো এবং গো এয়ারের টিকিটের দামও কমেছে। তবে তারা সরকারি ভাবে কোনও ঘোষণা করেনি।” তিনি জানান, ইন্টারনেটে কলকাতা-বেঙ্গালুরু রুটে মার্চ ও এপ্রিলের গোড়ার দিকের টিকিট মিলছে ৩০০০ টাকাতেও।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়াও এ দিন জানায়, ‘বসন্তকালীন’ এই ছাড়ে তাদের টিকিট কাটা যাবে শুক্রবার মাঝ রাত পর্যন্ত। সেই টিকিটে বিমানে চড়া যাবে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। সংস্থা সূত্রের খবর, এই সস্তার ভাড়ায় কলকাতা থেকে আগরতলা যাওয়া যাবে প্রায় ১৪০০ টাকায়। ভারতের প্রতিটি শহরে যাওয়ার বিমান ভাড়াতেই ৫০% ছাড় দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিমান সংস্থা।
জানুয়ারি-মার্চ এমনিতেই বিমানে যাতায়াত কমে। এ সময়ে স্কুল-কলেজে পরীক্ষা থাকায় অনেকেই বেড়াতে যান না। ফলে, পর্যাপ্ত যাত্রী পায় না সংস্থাগুলি। তার উপরে ইদানীং বিমান-জ্বালানির দাম বাড়ায় টিকিটের চাহিদা আগের থেকে কমেছে।
মনে করা হচ্ছে, এই অবস্থায় আসন ফাঁকা থাকার আশঙ্কাতেই দাম কমিয়ে যাত্রী টানতে চাইছে সংস্থাগুলি। মূল ভাড়া ও জ্বালানি করের উপরে ৫০% ছাড়ের কথা প্রথম জানায় স্পাইসজেট। মঙ্গলবার যা শুনে নড়েচড়ে বসে অন্যেরা। তার পরেই ইন্টারনেটে অন্যান্য সংস্থার টিকিটের দাম কমতে শুরু করে। দিব্যেন্দুবাবু বলেন, “সুবিধা সীমিত আসনে। তাই, মনমতো দিনে সস্তার টিকিট না-ও মিলতে পারে। তবে তার আগে বা পরের দু’দিনের টিকিট চাইলে কাঙ্ক্ষিত ভাড়া পাওয়া যেতেই পারে।” |