বিলগ্নিকরণ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবেই অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কে সরকারের হাতে থাকা ২৩.৫৮% শেয়ারের অর্ধেক ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নিলামে বিক্রির জন্য উদ্যোগী কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানিয়ে বলা হয়েছে, বর্তমান বাজার দরে ওই শেয়ারের মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৫৭০০ কোটি টাকা। এই বিলগ্নিকরণের লক্ষ্য, বিভিন্ন সংস্থায় পড়ে থাকা সরকারি শেয়ার বিক্রি করে সরকারের ঘরে ১৪ হাজার কোটি টাকার সংস্থান করা। এই সব সংস্থায় কেন্দ্রের হাতে সিংহভাগ মালিকানা নেই।
অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কে ওই শেয়ার হাতবদলের পথ সুগম করতেই তিনটি আর্থিক সংস্থাকে মার্চেন্ট ব্যাঙ্কার নিয়োগ করল কেন্দ্র। এই তিন সংস্থা হল: জে পি মরগ্যান চেজ, সিটিগ্রুপ গ্লোবার মার্কেটস, জেএম ফিনান্সিয়াল কনসালট্যান্টস। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, অর্থাৎ সাবেক ইউটিআই ব্যাঙ্কে সরকারি শেয়ার রয়েছে এই উদ্দেশ্যে বিশেষ ভাবে তৈরি আর্থিক সংস্থা স্পেসিফায়েড আন্ডারটেকিং অব ইউটিআই (এস ইউ ইউ টি আই)-এর হাতে। ২০০৩ সালে তৈরি এস ইউ ইউ টি আই তদানীন্তন মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থা ইউনিট ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (ইউটিআই)-র শাখা। |
সংসদে আইন পাশ করে (ইউটিআই অ্যাক্ট) তৈরি হয় ইউটিআই। ইউটিআই ব্যাঙ্ক তৈরি হয় মূলত তাদেরই উদ্যোগে। ইউটিআই ব্যাঙ্কই নাম বদল করে হয়েছে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, এখন যেটি দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্ক। এস ইউ ইউ টি আই ছাড়া অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের অন্য শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে রয়েছে: জীবনবিমা নিগম, সাধারণ বিমা নিগম, নিউ ইন্ডিয়া অ্যাশিওরেন্স এবং ন্যাশনাল ইনশিওরেন্স কোম্পানি।
বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় পড়ে থাকা শেয়ার কেন্দ্র থোক হিসেবেই নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। হিন্দুস্তান জিঙ্কে পড়ে থাকা শেয়ার বিক্রিতেও অনুমোদন মিলেছে সোমবার। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান অয়েলের ১০ শতাংশ শেয়ার থোক হিসাবে বিক্রিতে সায় মিলেছে। এ ধরনের বিলগ্নিকরণের লক্ষ্য রাজকোষ ঘাটতির উপর রাশ টেনে তা জাতীয় আয়ের ৪.৮ শতাংশে নামিয়ে আনা। আগের বছর তা ছিল ৪.৯ শতাংশ।
এই মুহূর্তে এস ইউ ইউ টি আই-এর মাধ্যমেই ওই তিন মার্চেন্ট ব্যাঙ্কারকে বিলগ্নিকরণে সাহায্য করার দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্র। এস ইউ ইউ টি আই-এর হাতে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ছাড়াও রয়েছে আইটিসি এবং এল অ্যান্ড টি-র শেয়ার। বাজারের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আলাদা করে ওই সব সংস্থার শেয়ার বিলগ্নিকরণের পথেও হাঁটবে কেন্দ্র। সেই কারণেই ২০১২ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এস ইউ ইউ টি আই গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও গত বছর তা বাতিল করা হয়। |