পাট্টা পাওয়া জমি থেকে বেদখলের ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিলেন বোলপুরের মহকুমাশাসক মলয় হালদার। সোমবার মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে আমরণ অনশনে বসেছিলেন সাত্তোর পঞ্চায়েতের দাস পরিবার। প্রশাসনের থেকে প্রয়োজনীয় আশ্বাস পেয়ে সোমবারই ওই পরিবারের সদস্যেরা অনশন প্রত্যাহার করে নেন। মলয়বাবু বলেন, “সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে ওই পরিবারের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”
পাডুই থানার শ্রীচন্দ্রপুরের ওই পরিবারের অভিযোগ, পাট্টা পাওয়া জমি থেকে তাঁদের বেআইনি ভাবে দখল করে মাটি ভরাট করা হয়েছে। গত ১৩ জানুয়ারি থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও তাঁরা কোনও সুরাহা পাননি। শেষমেশ মহকুমাশাসকের দফতরের সামনেই পরিবারটি অনশনে বসে পড়েন। পরিবারের পক্ষে সুনীল দাসের অভিযোগ, “বারবার স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোন সুফল পাইনি। বরং স্থানীয় পঞ্চায়তের তৃণমূল সদস্য তথা ওই অঞ্চলের সভাপতি শেখ মুস্তফা এবং তার সঙ্গীরা জোর করে তিন বিঘে চাষজমির কমবেশি পুরোটাই মাটি ভরাট করে দিয়েছে। ওরা ওই জমির দখল নিতে চেয়েই আমাদের জমিতে মাটি ভরাট করছে।” তাঁর দাবি, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীদের (আদতে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল) সমর্থনে প্রচারে নামার শাস্তি দিতেই তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এমনকী, প্রায়দিন তাঁদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। সুনীলবাবু বলেন, “আমরা দরিদ্র চাষি পরিবার। ওই তিন বিঘে জমির উপর নির্ভর করেই আমাদের সংসার চলে। সেখান থেকে আমাদের এ ভাবে জোর করে উচ্ছেদ করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না।”
অভিযোগ মানেননি সাত্তোর পঞ্চায়েতের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা দলের সাত্তোর অঞ্চল সভাপতি শেখ মুস্তফা। তাঁর দাবি, “অভিযোগ ঠিক নয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে এবং দলকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।” |