পাক সেনা সদরের কাছে জঙ্গি হানায় নিহত ১৩ জন
ব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ফের আঘাত হানল পাক তেহরিক-ই-তালিবান। কাল উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের বান্নুতে তালিবান হানায় প্রাণ হারান ২০ পাক সেনা। আজ রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনা সদর দফতরের অদূরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃত্যু হল ছয় সেনা-সহ ১৩ জনের। আহত ২৪। নিহতদের মধ্যে রয়েছে দুই স্কুল পড়ুয়াও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, রয়্যাল আর্টিলারি বাজার এলাকায় সাইকেলে চড়ে বছর আঠারো-কুড়ির একটি ছেলে যাচ্ছিল। সেই সময় চলছিল সেনা টহল। ছেলেটিকে দেখে কিছু সেনার সন্দেহ হয়। তাঁরা ছেলেটিকে দাঁড়াতে বলেন। সঙ্গে সঙ্গেই নিজেকে উড়িয়ে দেয় ওই আত্মঘাতী জঙ্গি। শহরের পুলিশ প্রধান আখতার হায়াত ললিকা জানান, কালকের মতো আজও অত্যন্ত শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহার করেছে জঙ্গিরা। রাওয়ালপিন্ডির রয়্যাল আর্টিলারি বাজারে সকালের ব্যস্ত সময় বেশ ভিড় লেগে থাকে। মাত্র দশ মিনিটের দূরত্বে পাক সেনার সদর দফতর। শহরের অন্যতম সুরক্ষিত এলাকার মধ্যে আর্টিলারি বাজার সংলগ্ন এলাকাটি অন্যতম। এই রকম অতি সুরক্ষিত একটি এলাকায় এত বড় বিস্ফোরণ কী ভাবে জঙ্গিরা ঘটাল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে।
বিস্ফোরণের ধাক্কায় আশপাশের এলাকার বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে গিয়েছে। রোজকার মতো আজও দোকান খুলেছিলেন লিয়াকত আলি। তিনি বলেন, “বিস্ফোরণের অভিঘাতে আমি চেয়ার থেকে পড়ে যাই। বাইরে বেরিয়ে দেখি, চার দিক ধোঁয়ায় ভর্তি। রাস্তায় পড়ে অনেকেই কাতরাচ্ছেন।”
কালকের মতো আজকের হামলারও দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন পাক তেহরিক-ই-তালিবান। সংগঠনের মুখপাত্র সইদুল্লা শাহিদ জানান, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সেনা অভিযানের পাল্টা হিসেবেই আজকের বিস্ফোরণ। সংগঠনের উপপ্রধান ওয়ালিউর রেহমানের হত্যার বদলাও এর কারণ। এমন হামলা যে ফের ঘটতে চলেছে তার ইঙ্গিত কালই দিয়ে রেখেছিল তালিবান। তবে সেই সঙ্গে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়ে সংঘর্ষ-বিরতির একটা প্রস্তাবও দিয়েছিল তারা। কিন্তু তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই কেন ফের আক্রমণের রাস্তায় হাঁটল তারা? সদুত্তর নেই।
তবে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আজই মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক ডেকেছিলেন। সন্ত্রাস দমন সংক্রান্ত আইনের খসড়া তৈরিই ছিল আজকের বৈঠকের উদ্দেশ্য। অনেকেই মনে করছেন, পাক সরকারকে বার্তা দিতেই আজকের বিস্ফোরণ।

ভারতীয়র কীর্তিতে সাড়া আমেরিকায়

২০ জানুয়ারি
ছোট্ট একটা যন্ত্র হই হই ফেলে দিয়েছে মার্কিন তথ্য সম্প্রচারের দুনিয়ায়। এমনকী এ নিয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও। আর এ সব কিছুর নেপথ্যে রয়েছেন চেত কানজিও নামের এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী। কারণ তাঁর বানানো একটি অ্যান্টেনা দিয়েই নাকি সরাসরি ঘরবন্দি করে ফেলা যাবে আকাশ দিয়ে বয়ে চলা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানের তরঙ্গ। ঘরবন্দি না বলে কম্পিউটার-বন্দি বা মোবাইল-বন্দি বলাই ভাল। কারণ শুধু ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমেই ঘটছে এই কাণ্ড। প্রয়োজন নেই কোনও রকম তার বা বাক্সের জটিলতার। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, চেতের তৈরি এই অ্যান্টেনা ‘এরিও’ বাজারে এসে গেলে দারুণ ভাবে মার খাবে তাবড় সম্প্রচার সংস্থাগুলি। কারণ বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপগ্রহের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে যে মোটা অর্থ পাওয়া যায়, তার অবকাশ রাখবে না এই নতুন অ্যান্টেনা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.