অবৈধ বালিখাদানের দখল নিয়ে দু’দলের সংঘর্ষে সোমবার অশান্ত হয়ে উঠল বর্ধমানের ইদিলপুর। চলল গুলি, ছোড়া হল বোমা। স্থানীয় সূত্রের খবর, আহত হয়েছেন পাঁচ জন। এর মধ্যে সুরথ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির আঘাত গুরুতর। পুলিশ আসার আগেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি বোমা ও দুটি গুলির খোল উদ্ধার
|
ঘটনাস্থলে পড়ে গুলি। |
করেছে। যদিও এই ঘটনায় সোমবার রাত পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ বর্ধমানের দামোদর সংলগ্ন ইদিলপুরের কাঠগোলা ঘাটে বালি তোলার কাজ চলছিল। এই সময় তাঁদের উপরে চড়াও হয় খণ্ডঘোষের কামালপুর থেকে আসা প্রায় জনা চল্লিশ লোক। অভিযোগ, হামলা চালানোর সময়ে তারা ব্যাপক বোমাবাজি করে ও গুলি চালায়। হামলায় আহত বালি শ্রমিক পুকার চৌধুরী বলেন, “আমরা অন্যান্য দিনের মতোই বালি তোলার কাজ করছিলাম। দশটার পরে এক দল সশস্ত্র লোক বোমা ছুড়তে ছুড়তে আমাদের দিকে এগিয়ে আসে।আমাদের লক্ষ করে গুলিও ছোড়ে। অনেকের শরীরেই বোমার টুকরো বিঁধেছে।” অপর আহত শিবু সাউয়ের অভিযোগ, “অবৈধ বালি পাচারকারীরা আমাদের উপরে হামলা করেছে।” আহত ব্যক্তিদের দাবি, ঘন ঘন নদীর খাত বদল ঘটছে। তাই জল যে দিক দিয়ে বইছে, সেটা দেখে দু’দিক থেকেই বালি তোলা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোনটি কার এলাকা সেটা চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দামোদরের দুই পাড় কামালপুর ও ইদিলঘাট। এই দুই জায়গাতেই বৈধ ও অবৈধ উপায়ে বালি তোলা চলে। কিন্তু সম্প্রতি ইদলপুরের কাঠগোলা দিক থেকে অস্থায়ী কাঠের সেতু তৈরি ইদিলপুরের কিছু বালি ব্যবসায়ীর বালি তোলাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল শুরু হয়। এ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই চাপা উত্তেজনা ছিল।
বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ওই সংঘর্ষের পরে কোনও পক্ষই কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েও কাউকে পায়নি। তাই ঠিক কী ঘটেছিল সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। খণ্ডঘোষ থানাতেও এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, সরকারের কাছ থেকে কোনও অনুমতি না নিয়েই জেলা জুড়ে অসংখ্য বালিখাদান চলছে। সোমবারের সংঘর্ষের পরে যেহেতু কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি, তাই মনে হচ্ছে দুটি বালি খাদই অবৈধ। পুলিশের সন্দেহ, দুটি খাদানের এলাকা দখল নিয়েই মারপিট হয়েছে। |