ইন্দিরা আবাসন প্রকল্প ঘিরে কখনও অভিযোগ উঠেছে উপভোক্তাদের না জানিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে টাকা। কখনও অভিযোগ উঠেছে অন্যের নামে টাকা তোলা হয়েছে। এই দুর্নীতি থেকে রেহাই পেতে তথ্য প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করছে প্রশাসন। একটি সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। সেখানে উপভোক্তাদের সম্পূর্ণ তথ্য থেকে শুরু করে ঘর তৈরির ছবি তুলে দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা, দিল্লি থেকে সরাসরি নজর রাখা হচ্ছে কাজের। ওই সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে টাকাও দেওয়া হচ্ছে উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে। কোচবিহার জেলায় ইতিমধ্যে ওই পদ্ধতিতে আট হাজারের বেশি বাসিন্দাকে ঘর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাড়ে সাত হাজার উপভোক্তাকে প্রথম পর্যায়ের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। কোচবিহার জেলা পরিষদের অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিক চিরঞ্জীব ঘোষ বলেন, “নতুন বছর থেকেই একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইন্দিরা আবাসন প্রকল্পের সমস্ত কাজ করা হচ্ছে। সেখানেই উপভোক্তাদের নাম, ছবি থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ তথ্য তুলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, ঘর তৈরির কাজ শুরু হতেই তার ছবি তুলে দেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই দফতরে বসেই সমস্ত কাজের দিকে নজর রাখতে পারছি।” প্রশাসন সূত্রের খবর, ইন্দিরা আবাসন প্রকল্পে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে উপভোক্তাদের হাতে টাকার চেক তুলে দেওয়া হত। দুটি পর্যায়ে টাকা হত। প্রথম কাজের শেষে রিপোর্ট জমা হলে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের টাকা দেওয়া হত। কোচবিহার থেকে রাজগঞ্জ, দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ উঠেছে, ঘর তৈরি না করেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, এ বার সেই সুযোগ নেই বললেই চলে। ৭০ হাজার টাকার ওই প্রকল্পে এখন ৩ পর্যায়ে উপভোক্তাকে পুরো টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেওয়া হয়। নতুন ওই সফটওয়্যারে উপভোক্তাদের নাম, ছবি, ঠিকানা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর সব দেওয়ার পরই টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ সিদ্ধান্তে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম পর্যায়ে ১০৭৫৭ টাকা দেওয়ার পরে কাজ শুরু করতে হবে। প্রশাসন ঘরের ছবি তোলার পরেই দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকা দেওয়া হয়। মাতালহাট পঞ্চায়েতের প্রধান মনোরঞ্জন বর্মন জানান, ইতিমধ্যে ১১৯ জনকে প্রথম পর্যায়ের টাকা টাকা দেওয়া হয়েছে। এই পদ্ধতি চালু হওয়ায় উপভোক্তারা সরাসরি হাতে টাকা পাচ্ছেন। |