মদ কেনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের বিবাদ গড়াল তৃণমূল ও সিপিএমের রাজনৈতিক সংঘর্ষে। অবরোধ, থানা ঘেরাওয়ের পাশাপাশি সিপিএমের একদল উত্তেজিত সমর্খক তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায় বলেও অভিযোগ। রবিবার রাতে মালদহের রতুয়ায় ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়েই এসডিপিও-র নেতৃত্বে এলাকায় ছুটে যায় বিরাট পুলিশ বাহিনী। সিপিএমের পথ অবরোধে আটকে পড়ে থানায় হাজির হন উত্তর মালদহের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুর। সাংসদ বলেন, “স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা এলাকায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যাকে তাকে শাসাচ্ছেন। পুলিশকে সেই বিষয়টি বলতেই থানায় যাই। পুলিশ কী করছে বুঝতে পারছি না।” মালদহের পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এলাকায় পুলিশ রয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” এদিন রাতে রতুয়ায় একটি মদের দেকানে মদ কিনতে যান স্থানীয় কয়েক জন যুবক। তাঁরা এলাকায় সিপিএম কর্মী বলে পরিচিত। দোকান মালিকের সঙ্গে দাম নিয়ে বচসা হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় দোকান মালিকের হয়ে কয়েক জন তৃণমূল কর্মী তাদের মারধর করে বলে অভিযোগ। সিপিএমের অভিযোগ, ওই তৃণমূল কর্মীরা রতুয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শেখ ইয়াসিনের লোকজন বলে পরিচিত।
এর পরেই প্রহৃত যুবকেরা রতুয়ায় ফিরে আসেন। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই সিপিএম রতুয়া-মালদহ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। ওই সময় ওই সড়ক ধরে মালদহে ফেরার সময় আটকে পড়েন মৌসম। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তিনি থানায় যান। শুরু হয় থানা ঘেরাও। আন্দোলনকারীদের একাংশ থানাতেও গিয়ে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, সিপিএমের একাংশ স্থানীয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে চড়াও হয়ে চেয়ার, টেবিল, ফ্যান গুঁড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূলের রতুয়া-১ ব্লক সভাপতি ফজলুল হক বলেন, “মদ খেয়ে বিবাদ থেকে সিপিএম পার্টি অফিস ভেঙে দিল। রাস্তা বন্ধ করে মানুষকে হয়রান করল। মানুষ সব দেখেছে।” যদিও সিপিএমের জেলা কমিটির সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “আমরা পার্টি অফিস ভাঙিনি। যা হয়েছে জনরোষের ফল। আর তৃণমূলের লোকজন সর্বত্র এখন দাদাগিরি করে বেড়াচ্ছে। মদের দোকানে ঝামেলা ওঁরাই পাকিয়েছে।” |