জওহরলাল নেহেরু আরবান রিন্যুয়াল মিশন প্রকল্পে ১৪০টি নতুন বাস পেতে চলেছেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম কর্তৃপক্ষ। এই প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী বাস কেনার জন্য প্রয়োজনীয় ৬০ কোটি টাকার আশি শতাংশ টাকা কেন্দ্র মেটাবে, বাকি ২০ শতাংশ টাকা দেবে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই, বাস কিনতে ই-টেন্ডার আহ্বান করেছেন নিগমের কর্তৃপক্ষ। নিগমের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জয়দেব ঠাকুর এই প্রসঙ্গে বলেন, “টেন্ডার প্রক্রিয়ার পরে বরাত পাওয়া সংস্থার থেকে নমুনা বাস দেখতে চাওয়া হবে। তা পছন্দ হলে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ১৪০টি নতুন বাস রাস্তায় নামানো সম্ভব হবে আমরা বলে আশা করছি।”
এনবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সমস্ত জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির বিভিন্ন রুটে চালানোর জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক করা হয়েছে, ১৮০টির মধ্যে ৮০টি বাস দুই শহরের দশ কিমি এলাকার মধ্যে থাকা এলাকাগুলি থেকে অন্যত্র যাতায়াত করবে। এরই পাশাপাশি জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি রুটে দিনের ব্যস্ত সময়ে ১৫ মিনিট অন্তর কিছু বাস চালানো হবে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে থেকে ট্রেনের সূচি মেনে কিছু বাস চালানোর পাশাপাশি বাগডোগরা বিমানবন্দর পর্যন্তও বাস চালানো হবে বলে এই দিন এনবিএসটিসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর মধ্যেই নতুন বাস নামানোর ওই উদ্যোগের মধ্যে স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প চালুর তোড়জোড় নিগম কর্তাদের চিন্তা বাড়িয়েছে। এনবিএসটিসি সূত্রেই জানা গিয়েছে স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পের তালিকা ভুক্ত কর্মীর সংখ্যা ৫৯২ জন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই চালক ও কন্ডাক্টর। ওই সমস্ত কর্মীর সকলকে স্বেচ্ছাবসর দেওয়া হলে নিগমের বিভিন্ন রুটে চলা গড়ে ৩৭৫টি বাস চালাতে সমস্যা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার ওপর নতুন বাস এলে কী করে তা বিভিন্ন রুটে চালানোর মতো পরিস্থিতি সামলানো যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিগমের কয়েক জন আধিকারিক মনে করছেন, তালিকাভুক্ত সকল কর্মীদের একসঙ্গে স্বেচ্ছা অবসর দেওয়া হলে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। নিগমের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জয়দেববাবু এ প্রসঙ্গে বলেন, “আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প চালু করার নির্দেশ পেয়েছি। পরিষেবা স্বাভাবিক রেখেই পদক্ষেপ করা হবে। নতুন কর্মী নিয়োগের বিষয়েও দ্রুত মঞ্জুরি মিলবে বলে আশা করছি।” |