জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত রোগীরা প্রয়োজনীয় প্রতিষেধক পাচ্ছেন না। এমনটাই অভিযোগ করছেন আক্রান্তদের একটা বড় অংশই। জেলার কয়েকটি হাসপাতালের সুপারও প্রতিষেধক অমিলের কথা মেনে নিয়েছেন। যদিও ঘাটতির কথা মানতে চাননি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কার্তিক মণ্ডল।
এ দিকে, গত ডিসেম্বর থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত জুড়ে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু জেলার বেশির ভাগ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন’ মিলছে না বলেই রোগীদের দাবি। তার জেরে সিউড়ি সদর হাসপাতাল তো বটেই মহকুমা হাসপাতালগুলিতেও আক্রান্ত রোগীদের চাপ বাড়ছে বলে খবর।
এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সিউড়ি সদর হাসপাতালের সুপার অসিত বিশ্বাস বলেন, “প্রতিষেধক না পেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত রোগীরা সদর হাসপাতালে চলে আসছেন। কিন্তু সেই তুলনায় আমাদেরও অ্যান্টি র্যাবিসের জোগান বেশি নেই।
ফলে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীদের বাজার থেকেও ভ্যাকসিন কিনে দিতে হচ্ছে।” অন্য দিকে, রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “স্বাস্থ্য দফতরের সিউড়ি রিজার্ভ স্টোর থেকে অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে জোগান কম বলেই জানি। ফলে সময়মতো প্রয়োজনীয় জোগান না পেলে আগামী দিনে আমাদের অসুবিধেয় পড়তে হবে।” রোগীদের অভিযোগকে অস্বীকার করে কার্তিকবাবু অবশ্য দাবি করছেন, “জেলার কোথাও অ্যান্টি র্যাবিসের ঘাটতি নেই।” জোগান নিয়ে তাঁর কাছে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হলে কার্তিকবাবু ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, “এখন পাল্স পোলিও কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত আছি। কথা বলার সময় নেই।” |