চক্ষুদানে বিশেষ উদ্যোগ
গোটা মহকুমায় হিসেবটা ছিল তিন বছরে মাত্র দু’জন! রবিবার তাতে আরও একটি নাম যুক্ত হল। এই হিসেবে রামপুরহাট মহকুমায় চক্ষুদানের। অন্তত এমনটাই দাবি রামপুরহাটের ‘স্বয়ম’ সংস্থার। এ দিন বিকেলে দুর্গাপুর ব্লাইন্ড রিলিফ সোসাইটির সহযোগিতায় সংস্থা সংগ্রহ করল সদ্যমৃত মানিক সরকারের দু’টি চোখের কর্নিয়া।
সংস্থা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকবাবু দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে রামপুরহাট নিশ্চিন্তপুরের গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের আশ্রয়ে ছিলেন। পরিবারের পক্ষে প্রতিমা গঙ্গোপাধ্যায়, অর্ণব গঙ্গোপাধ্যায়, অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়রা জানান, শুক্রবার সকালে মানিকবাবু বাড়িতেই অজ্ঞান হয়ে যান। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রবিবার সকালে সেখানেই তিনি মারা যান। এরপরেই তাঁরা মানিকবাবুর চক্ষুদানের জন্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁদের কথায়, “আমরা দেখলাম, একটা প্রাণ চলে গিয়েছে। কিন্তু ওঁর চোখ যদি আরও দু’জন মানুষকে পৃথিবীর আলো দেখাতে পারে, তা হলে ক্ষতি কি?”
সংস্থার কৌশিক আইচ জানান, ভারতে কর্ণিয়া জনিত অন্ধ মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৫ লক্ষাধিক। রামপুরহাটে তিন বছর ধরে কাজ করে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের কাছে মরণোত্তর চক্ষুদান করার জন্য আবেদনপত্র বিলি করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬০০ জনই সাড়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, “২০১১ সালে বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাবা রতন্তীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু’টি কর্ণিয়া প্রদান করেছিলেন। সেটিই ছিল রামপুরহাটে এ ধনের প্রথম নিদর্শন। খবর পেয়ে রামপুরহাট হাসপাতালে পৌঁছে এসডিপিও (রামপুরহাট) কোটেশ্বর রাও বলেন, “প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সবার আরও বেশি করে এগিয়ে আসা উচিত।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.