রাজ্যে আরও ১২ টি নতুন শিল্পতালুক গড়তে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। রবিবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের চেয়ারম্যান সব্যসাচী বাগচি। মুর্শিদাবাদের রেজিনগর, ইসলামপুরের ইলুয়াবাড়িতে শিল্পতালুকের সূচনা হয়েছে। আজ, সোমবার জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে থাকা আমবাড়ি ফালাকাটায় নতুন শিল্পতালুকের পরিকাঠামোর উদ্বোধন হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ উত্সবের মঞ্চ থেকে তার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগম চেয়ারম্যান সব্যসাচীবাবু বলেন, “ওই শিল্পতালুকগুলি গড়তে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ২০১৫-র ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি শিল্পতালুকগুলির পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ করে সেগুলি শিল্প গড়ার জন্য খুলে দেওয়া হবে।” তিনি জানান, রাজ্যে যে শিল্পতালুকগুলি রয়েছে সেসব মিলিয়ে ছোট, মাঝারি অন্তত ৩৫০০ শিল্প ইউনিট রয়েছে। সেগুলিতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বহু লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমের উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান নান্টু পাল জানান, আমবাড়ি ফালাকাটা শিল্প তালুকের পরিকাঠামো ৫০ শতাংশ তৈরি হয়ে গিয়েছে। জেলা শিল্প কেন্দ্রের নথিভুক্ত সংস্থা ও জেলা শিল্প কেন্দ্রের তরফে অনুমোদিত প্রকল্প হলে উদ্যোগীরা শিল্পতালুকে জায়গার আবেদন করতে পারবেন। সব্যসাচীবাবু জানান, শিল্পতালুকের পরিকাঠামো গড়ার ক্ষেত্রে ৩০ কোটি টাকার কাজের বরাত যে ঠিকাদার সংস্থাকে বাম জমানায় দেওয়া হয়েছিল তাদের সেই সামর্থ্য ছিল না। তারা সামান্য কাজ করে বসে থাকতেন। সেই টাকা মেটানো হলে ফের নতুন করে কাজ করতেন। সব্যসাচীবাবু বলেন, “রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর ওই ঠিকাদারের চুক্তি খারিজ করি। বিভিন্ন ছোট ঠিকাদার সংস্থাকে কাজের বরাত দেওয়া হয়। তাতে আড়াই বছরে ওই শিল্পতালুকের পরিকাঠামো গড়ে তা চালু করা হচ্ছে।” রাজ্য ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই দফায় আমবাড়ি ফালাকাটা শিল্প তালুকগড়া হচ্ছে। প্রথম দফায় ৬৮.৩৩ একর জমিতে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। মোট ১৭৯ টি প্লট করা হয়েছে। ৫ থেকে ২৩ কাঠার ওই প্লটগুলি প্রতি কাঠা দেড় লক্ষ টাকা মূল্যে ৯৯ বছরের জন্য লিজ পেতে পারবেন উদ্যোগীরা। দ্বিতীয় দফায় ৫৫ একর জায়গায় পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। মালদহের মধুঘাটে একটি সিল্ক পার্ক, ডুয়ার্সের বানারহাটে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়া হবে। |