যুব তৃণমূল ও ছাত্র পরিষদের সংঘর্ষে জখম হয়েছেন উভয় পক্ষের ছয় জন। রবিবার রাতে কান্দির লিচুতলা মোড়ের ঘটনা। এ দিন ওই মোড়ে যুব তৃণমূলের একটি পথসভা চলছিল। সেই সময় কলেজ ভোটের প্রচারে ওই এলাকা দিয়ে ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা মিছিল করে যাচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের সভা থেকে কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে করুচিকর মন্তব্য করা হয়। তারপরেই ছাত্র পরিষদ ও যুব তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা প্রথমে বচসা ও পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল মণ্ডলের অভিযোগ, “কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকারের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছে। কংগ্রেসের পায়ের তলা থকে মাটি সরে যাওয়ায় তারা এরকম করছে।” কান্দির বিধায়ক কংগ্রেসের অপূর্ব সরকার বলেন, “আমি তো কান্দিতেই নেই। ওখানে কলেজ পড়ুয়ারা মিছিল করছিলেন। নেতাদের সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করে আমাদের ছেলেদেরকেই ওরা মেরেছে। এখন নিজেদের বাঁচাতে মিথ্যে অভিযোগ করছে।” অন্য দিকে সিপিএম তৃণমূলের মারামারি বাধে মাজদিয়া বাজারের কাছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার সকাল নাগাদ বাজারের কাছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্লক সভাপতি মিলন হালদারকে সিপিএমের লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ। সিপিএমের পাল্টা অভিযোগ, আমাদের কেউ ওই ছাত্র নেতাকে মারেনি। উল্টে তৃণমূলের লোকজনই আমাদের স্থানীয় দলীয় অফিস তছনছ করেছে। দু’তরফেই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। |