|
|
|
|
পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, তদন্তে এলেন ডিআইজি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
দাদার সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ। কিন্তু থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ। উল্টে পুলিশি অত্যাচারের মুখে পড়তে হচ্ছে। দাসপুর থানার বৈকুন্ঠপুরের বাসিন্দা সুজাতা প্রধান এই মর্মে পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক প্রাক্তন পুলিশ সুপার এবং অন্য অফিসারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশের ডিজি, আইনমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে রবিবার তদন্তে আসেন ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) অজয় নন্দ। ঘাটালে সার্কেল ইন্সপেক্টরের অফিসে প্রায় দেড় ঘন্টা সুজাতাদেববীর সঙ্গে কথা বলেন ডিআইজি। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমি ডিজির নির্দেশে এখানে এসেছি। ওই মহিলা ও তাঁর পরিবারের পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তা শেষ না হলে কিছু বলা যাবে না।” ডিআইজি-র সঙ্গে কথার পরে কিছুটা ভরসা পেয়েছেন সুজাতাদেবী। তাঁর বক্তব্য, “কথা বলে আশ্বস্ত হয়েছি। উনি আবার আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। কিছু কাগজপত্রও চেয়েছেন। আমরা সেগুলি দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।”
ঘটনাটি ২০০৭ সালের। ওই বছরই সুজাতা দেবীর সঙ্গে তাঁর দাদা ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রাক্তন কর্মী রঞ্জিত চৌধুরীর সম্প্রতি নিয়ে গোলমাল বেধেছিল। সুজাতাদেবী বলেন “দাদার কাছে আমরা কিছু টাকা পেতাম। টাকা চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে বিবাদ চলছিল। দাদার মদতে স্থানীয় লোকজন বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধরও করে। কিন্তু থানা অভিযোগ নেয়নি।” সুজাতাদেবীর ছেলে স্বপ্নদীপ প্রধানের অভিযোগ, “ঘটনার পর থেকে আমাদের পরিবারের অত্যাচার চলতে থাকে। থানা যাতে অভিযোগ নেয় সে জন্য একাধিক বার আমার মা অনশনও করে। কিন্তু পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি।” ২০১১ সালে দাসপুর থানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা শুরু করলেও বিষয়টি লঘু করে দেখানো হয় বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে সুজাতাদেবীর দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই মহিলার পরিবারকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সুবিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশের ডিজি-সহ পুলিশ-প্রশাসনের উপরমহলের দ্বারস্থ হয় সুজাতাদেবীর পরিবার। তারই প্রেক্ষিতে ডিআইজি তদন্তে আসেন।
|
|
|
|
|
|