|
|
|
|
ট্রেকার উল্টে নয়ানজুলিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
রাস্তার ধারে বালির স্তূপকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রন হারাল ট্রেকার। উল্টে পড়ল নয়ানজুলিতে। রবিবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার নন্দপুর বাসস্টপের কাছে চণ্ডীপুর-নন্দীগ্রাম রাজ্য সড়কে। আহত হয়েছেন এক শিশু ও ৭ মহিলা-সহ ১৭ জন যাত্রী। আহতদের প্রথমে চণ্ডীপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে প্রত্যেককেই তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরে তিন জনকে কলকাতায় নীলরতন সরকার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
|
|
আহতরা তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
চণ্ডীপুর-নন্দীগ্রাম রাজ্য সড়কে নন্দপুর বাসস্টপেজের কাছে রাস্তার একাংশ দখল করে বালি রাখা ছিল। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ চণ্ডীপুর বাজার থেকে একটি ট্রেকার প্রায় ৩০ জন যাত্রী নিয়ে নন্দীগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। চণ্ডীপুর বাজার থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে নন্দপুর বাসস্টপের কাছে ট্রেকারটি বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লরিকে পাশ দিতে গিয়ে সড়কের বাম দিকে থাকা বালির উপর উঠে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রেকারটি একটি গাছে ধাক্কা মেরে উল্টে পড়ে পাশের নয়ানজুলিতে। ট্রেকারের খালাসি ও যাত্রী মিলিয়ে ১৭ জন আহত হন।
এ দিন দুর্ঘটনায় ডান কান কেটে গিয়েছে তমলুকের চিত্রা গ্রামের অমিরন প্রধানের। তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি অমিরনবাবু বলেন, “ট্রেকারের ভিতরে, ছাদে, দু’পাশে ঝুলে প্রায় ৩০ জন যাত্রী ছিল। ট্রেকারটি কিছু দূর যাওয়ার পরেই বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লরিকে জায়গা দিতে রাস্তার বাম পাশে সরে যায়। রাস্তার ওই দিকে বালির স্তূপ ছিল। ট্রেকার চালক আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি।” স্থানীয় বাসিন্দা সোমনাথ সাহুর অভিযোগ, “চণ্ডীপুর-নন্দীগ্রাম সড়কের মধ্যে অনেক জায়গাতেই সড়কের দু’ধার দখল করে বালি, স্টোনচিপস, ইট রাখা। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। পুলিশ-প্রশাসনের হুঁশ নেই।” |
|
|
|
|
|