শর্ট বল সামলাতে পারল না ধবনরা
একজন স্ট্রাইক বোলার খেলালে বড়
রান তাড়া করতেই হবে ধোনিদের
ভারতের জন্য সময়টা বেশ চিন্তার। ওদের বোলাররা বড্ড বেশি রান খরচ করে ফেলছে। বিরাট কোহলি যত দুর্দান্তই হোক না কেন, ওকে নিজের দরজার সামনে থেকে প্রচুর জঞ্জাল সাফ করতে হবে।
হ্যাঁ, ভুবনেশ আর শামি ভাল বল করেছে। শেষ পাঁচ ওভারে বোলিংয়ে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণও ছিল। কিন্তু তাতেও একটা ব্যাপার ঢাকা যাচ্ছে না। সেটা হল, ভারত এখন প্রায় নিয়মিত ভাবে তিনশো রান দিয়ে বসছে। কয়েকটা কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় কিন্তু এসে গিয়েছে।
এখন যা অবস্থা, তাতে ভারতীয় বোলিং এক জন স্ট্রাইক বোলারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। সে অবশ্যই শামি (এ দিন ওয়ান ডে-তে নিজের সেরা বোলিংটা করল)। বাকি বোলাররা রক্ষণাত্মক। ওরা বড়জোর যেটা করতে পারে সেটা হল রানের গতিটা নিয়ন্ত্রণে রাখা। আর তাই শেষের ওভারগুলোয় প্রতি ম্যাচে রানের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। হাতে উইকেট আর ফিল্ডিং বিধিনিষেধ দুইয়ে মিলে বিপক্ষকে প্রচুর রান তুলে ফেলার সুযোগ দিচ্ছে। আর ম্যাচের চিত্রনাট্যও তাই হারিয়ে যাচ্ছে।

এ ভাবেই শর্ট বলের শিকার ধবন। ছবি: এএফপি।
তবে সিমারদের একা দোষ দিলে চলবে না। মাঝের ওভারগুলোয় তো স্পিনাররাও উইকেট তুলতে পারছে না। যার জন্য শেষের দিকে সিমারদের অবস্থাটা আরও শোচনীয় হয়ে যাচ্ছে। সব কিছুই তো তখন ওদের বিপক্ষে।
ভাববেন না আমি ইশান্ত শর্মার হয়ে সওয়াল করছি। ওর জন্য কোনটা সঠিক টেকনিক, সেটা এখনও বুঝে উঠতে পারেনি ইশান্ত। অশ্বিন আর জাডেজার কয়েকটা উইকেট দরকার, যার জন্য ওদের বল ফ্লাইট করানোর সাহসটা থাকতে হবে। জাডেজা যে বলটা ফ্লাইট করাল, সেটাতে কিন্তু ও উইকেট পেয়েছে। নিউজিল্যান্ডে খুব কম উইকেটই বলটাকে গ্রিপ বা স্পিন করতে দেবে। তাই অশ্বিন-জাডেজাকে নিজেদের টেকনিক খতিয়ে দেখতেই হবে।
ভারতের বেশ কয়েকটা উইকেট পড়ল শর্ট বল খেলতে গিয়ে। রোহিত শর্মা, শিখর ধবন, সুরেশ রায়না আর মহেন্দ্র সিংহ ধোনি যার উদাহরণ। এর মধ্যে থেকে ভারত অধিনায়ককে বাদ দেওয়া যায়, কারণ ও আর কোহলি মিলেই তো ইনিংস মেরামতির কাজটা করল। কিন্তু ওয়ান ডে-তে রান তাড়া করাটাই যদি ভারতের বেশি পছন্দের হয়, তা হলে ওদের ব্যাটসম্যানদের নিজেদের ভুলগুলো শুধরোতেই হবে।
নিউজিল্যান্ড নিশ্চয়ই দারুণ খুশি। প্রথম দিকে ওরা বিপদে পড়লেও পরে সেটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। লোয়ার অর্ডারে কোরি অ্যান্ডারসন ও লিউক রঙ্কি খুব বিপজ্জনক। ওয়ান ডে ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরি করে কোরি যে প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছিল, সেটা আবার দেখতে পেলাম। একের পর এক বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছিল ও। বোলিংয়েও কিন্তু টিমের কাছে কোরি যথেষ্ট মূল্যবান।
তবে নিউজিল্যান্ডের যে ব্যাপারটা আমাকে সবচেয়ে প্রভাবিত করেছে, সেটা ওদের ফিল্ডিং। কয়েকটা দুর্দান্ত ক্যাচ দেখলাম রবিবার। গ্রাউন্ড ফিল্ডিং তো অসাধারণ ছিল। ওয়ান ডে-তে কিন্তু বরাবরই নিউজিল্যান্ড ভাল টিম। আর নেপিয়ারেও ওরা সেটা দেখিয়ে দিল। আর মনে রাখবেন, দেশের মাঠে ওরা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ভাল।

পুরনো খবর:
নেপিয়ারের স্কোর
নিউজিল্যান্ড
গুপ্তিল ক অশ্বিন বো শামি ৮
রাইডার বো শামি ১৮
উইলিয়ামসন ক রাহানে বো জাডেজা ৭১
টেলর ক ধোনি বো শামি ৫৫
ব্রেন্ডন ক ধোনি বো ভুবনেশ্বর ৩০
অ্যান্ডারসন ন.আ. ৬৮
রঙ্কি ক ভুবনেশ্বর বো ইশান্ত ৩০
নাথান ক ও বো শামি ২
সাউদি ন.আ. ৩
অতিরিক্ত
মোট ৫০ ওভারে ২৯২-৭।
পতন: ২২, ৩২, ১৫৩, ১৭১, ২১৩, ২৭৯, ২৮৪।
বোলিং: ভুবনেশ্বর ১০-০-৩৮-১, শামি ৯-০-৫৫-৪, ইশান্ত ৯-০-৭২-১
জাডেজা ৯-০-৬১-১, অশ্বিন ১০-০-৫২-০, কোহলি ৩-০-১৩-০।

ভারত
রোহিত ক সাউদি বো ম্যাক্লেনাঘন ৩
ধবন ক টেলর বো অ্যান্ডারসন ৩২
কোহলি ক রাইডার বো ম্যাক্লেনাঘন ১২৩
রাহানে ক নাথান বো অ্যান্ডারসন ৭
রায়না ক সাউদি বো মিলনে ১৮
ধোনি ক রঙ্কি বো ম্যাক্লেনাঘন ৪০
জাডেজা ক রঙ্কি বো ম্যাক্লেনাঘন ০
অশ্বিন ক সাউদি বো উইলিয়ামসন ১২
ভুবনেশ্বর রান আউট ৬
ইশান্ত বো সাউদি ৫
শামি ন.আ. ৭
অতিরিক্ত ১৫
মোট ৪৮.৪ ওভারে ২৬৮।
পতন: ১৫, ৭৩, ৮৪, ১২৯, ২২৪, ২২৪, ২৩৭, ২৪৪, ২৫৯।
বোলিং: সাউদি ৯.৪-২-৪৩-১, ম্যাক্লেনাঘন ১০-০-৬৮-৪, মিলনে ৭.৩-০-৪০-১
অ্যান্ডারসন ১০-০-৫১-২, নাথান ১০-০-৫৪-০, উইলিয়ামসন ১.৩-০-৯-১।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.