|
|
|
|
মেদিনীপুরে শুরু আপের সদস্য সংগ্রহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুর শহরে সংগঠন তৈরির কাজ শুরু করল আম আদমি পার্টি (আপ)। রবিবার থেকে সদস্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এ দিন জেলাশাসকের দফতরের সামনে কালেক্টরেট মোড়ে অস্থায়ী ক্যাম্প করে সদস্য সংগ্রহ চলে। মহাবীর, অনুমিত্রা ঘোষ, শেখ রিজাউল হকেরা এ কাজে সামিল হন। পথচলতি মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।
আইআইটি, খড়্গপুরের ছাত্র ছিলেন আম আদমি পার্টি (আপ)-র নেতা, দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইতিমধ্যে খড়্গপুরে ‘আপ’-এর সংগঠন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দিনে ঝাড়গ্রাম, ঘাটালেও সংগঠন তৈরির কাজ শুরু হবে বলে আপ নেতৃত্ব জানিয়েছেন। আপাতত, সদস্য সংগ্রহই চলবে। |
|
চলছে সদস্য সংগ্রহ। —নিজস্ব চিত্র। |
মহাবীর বলেন, “আমাদের লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আগে আমরা খড়্গপুরে এই কর্মসূচি শুরু করেছি। এ বার মেদিনীপুরে সদস্য সংগ্রহ শুরু হল। আগামী দিনে ঝাড়গ্রাম, ঘাটালের মতো শহরেও সদস্য সংগ্রহ শুরু হবে।” মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রেও এ বার আপ প্রার্থী দেবে বলে জানান মহাবীর। ইতিমধ্যে কয়েকজন প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করেছেন।
কংগ্রেস, তৃণমূল থেকে সিপিএম, বিজেপি অবশ্য আপ-এর এই বিস্তারে গুরুত্ব দিতে নারাজ। এই দলগুলোর স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, দিল্লি ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। তৃণমূলের শহর সভাপতি আশিস চক্রবর্তী বলেন, “আপ দিল্লি কেন্দ্রিক দল। কিছু বিষয়কে সামনে রেখে তারা আন্দোলন করেছে। সেই বিষয়গুলো দিল্লির বুকেই তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে আপ গোটা ভারতবর্ষে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে বলে মনে হয় না।”
শহর কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন খানেরও মত, “পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য রাজ্যে আপের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। আমার মনে হয় না, মেদিনীপুর শহরে ওরা জনসমর্থন পাবে।” সিপিএমের শহর জোনাল সম্পাদক কীর্তি দে বক্সীর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অনেক সচেতন। তাঁরা অনেক লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলন দেখেছেন। এখানে হয় বাম নয় ডান, মাঝে কোনও দলের স্থান নেই।” অন্যদিকে, বিজেপির শহর সভাপতি অরূপ দাসের যুক্তি, “শুধু আবেগ দিয়ে রাজনীতি হয় না। আপের কোনও রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা নেই। এ রাজ্যে ওই দলের কোনও ভবিষ্যৎ নেই।” |
|
|
|
|
|