‘অপহরণ’, ঠিকাদার ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা |
এক যুবককে অপহরণের অভিযোগে এক ঠিকাদারকে গ্রেফতার করল গরফা থানার পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে, সুভাষগ্রাম থেকে। ধৃতের নাম গৌতম অধিকারী (৩৬)। পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে এক মহিলা অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী প্রশান্ত নস্করকে অপহরণ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতেই গৌতমকে ধরে পুলিশ। সেখান থেকেই অপহৃত ওই যুবককেও উদ্ধার করা হয়। ধৃতকে রবিবার আলিপুর কোর্টে তোলা হলে বিচারক তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানায়, প্রশান্ত নামে অপহৃত ওই যুবক গরফার পূর্বাচলের বাসিন্দা। প্রোমোটারের হয়ে সাইট সুপারভাইজিং-এর কাজ করেন তিনি। তাঁর স্ত্রী পুলিশে অভিযোগ করেন, শনিবার সন্ধ্যায় গরফা এলাকা থেকেই প্রশান্তকে অপহরণ করা হয়। তাঁর স্বামীর মুক্তির জন্য লক্ষাধিক টাকা চেয়ে প্রোমোটারের কাছে একটি ফোনও আসে বলে তিনি পুলিশকে জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাটির তদন্তে নামে। যে মোবাইল নম্বরটি থেকে মুক্তিপণের টাকা চেয়ে ফোন এসেছিল, সেই নম্বরটির খোঁজ শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, ফোনটি সুভাষগ্রাম থেকে এসেছিল। এর পরেই অভিযুক্তের খোঁজে পুলিশ সুভাষগ্রাম যায়। পুলিশ জানায়, সুভাষগ্রামের একটি বাড়িতেই প্রশান্তকে আটকে রেখেছিল গৌতম। ওই যুবককেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রশান্ত যে প্রোমোটারের হয়ে কাজ করত, তাঁর থেকে কয়েক লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা ছিল গৌতমের। অনেক চেষ্টাতেও টাকা আদায় করতে না পেরে প্রশান্তকে অপহরণের ফন্দি আঁটে গৌতম। |
তারকের নামে ফের পেটানোর অভিযোগ
|
মারধরের অভিযোগে সাসপেন্ড হয়ে আছেন তিনি। তারই মধ্যে আবার সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশকর্মী তারক দাসের বিরুদ্ধে। তবে রবিবার রাত পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। তারক যাদবপুর এলাকায় তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত। পুলিশ জানায়, তারক এবং তাঁর সঙ্গীরা রবিবার পাটুলির রায়পুর রোডে সিপিএমের শাখা সম্পাদক ইন্দুলাল চক্রবর্তী-সহ কিছু কর্মীকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। ইন্দুবাবু পাটুলি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মারধর, চুরি ও হুমকির অভিযোগ দায়ের করেন। ইন্দুবাবু জানান, দুপুরে তাঁরা রায়পুর এলাকার দেওয়ালে ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের স্লোগান লিখছিলেন। তারকের নেতৃত্বে আট যুবক চারটি মোটরবাইকে এসে তাঁদের ভয় দেখান এবং মারধর করেন। ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অরূপ চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, “তারক দাস সরকারি কর্মচারী, তৃণমূলের কেউ নন।” পুলিশি সূত্রের খবর, ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বামপন্থীদের বন্ধে সিটুর অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল তারকের বিরুদ্ধে। মারধর করা হয় দুই সাংবাদিককে। তারক গ্রেফতার হন। তাঁকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। আদালত তারককে ওই এলাকায় ঢুকতে নিষেধ করেছিল। তা সত্ত্বেও মাসখানেক আগে বাঘা যতীন স্টেশন এলাকায় ঢুকে এক সিপিএম-কর্মীকে পেটান ওই পুলিশকর্মী। |
সোনাপট্টির লুঠে মুম্বইয়ের দুষ্কৃতীরা |
বরাহনগরে সোনার দোকানে লুঠের সঙ্গে মুম্বইয়ের একটি দুষ্কৃতী দলের যোগসূত্র পেল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, সাত জনের লুঠের দলটিতে চার জন মুম্বই এবং তিন জন স্থানীয় দমদম এলাকার। বেশ কিছু দিন ধরে তারা নিউ ব্যারাকপুরে বাড়ি ভাড়া করে থাকছিল। শনিবার বরাহনগরের স্বাধীন কলোনির সোনাপট্টিতে একটি দোকানে মালিক সুধীর সামন্তের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে লক্ষাধিক টাকার গয়না লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা। বাকিরা ট্যাক্সিতে চেপে পালালেও নীরজ সিংহ নামের এক দুষ্কৃতীকে বাসিন্দারা ধরে ফেলেন। নীরজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শনিবার রাতেই পুলিশ এক ট্যাক্সিচালক বিশ্বনাথ পালকে গ্রেফতার করে। আটক হয় একটি ট্যাক্সিও। নীরজ এবং বিশ্বনাথকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জেনেছে, ওই দলটি এর আগে ওই এলাকার বিভিন্ন সোনার দোকানে ঘুরে গিয়েছে। তাদের এক জন আগে সোনাপট্টিতে কাজ করে গিয়েছে বলে জেনেছে পুলিশ। কেউ সুধীরবাবুর দোকানে কাজ করত কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বড়বাজার থেকে অর্ডার এনে ওই এলাকায় গয়না তৈরি হয়। তাই প্রায়ই ডাকাতি বা লুঠ হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর দিলীপনারায়ণ বসু জানান, এলাকায় টহলদারি বাড়াতে পুলিশকে অনুরোধ করেছেন তিনি। |
লাইনে ফাটল, ট্রেন বন্ধ শিয়ালদহে
|
কুয়াশা নয়। রেললাইনে ফাটল ধরায় শিয়ালদহের একটি লাইনে বেশ কিছু ক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হল। এবং তার জন্য আবহাওয়ার পরিবর্তন, বিশেষ করে তাপমাত্রার আকস্মিক ওঠানামাকেই দায়ী করছে রেল। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে দমদম-কাঁকুড়গাছির ডাউন লাইনে। রেল সূত্রের খবর, সকালে পাতিপুকুর এলাকায় রেললাইনের একাংশে (প্রায় সাত ইঞ্চি) ফাটল দেখা যায়। এই ঘটনার জেরে ওই লাইনটি এক ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ রাখা হয়। বাতিল করতে হয় ওই লাইনের তিনটি লোকাল ট্রেন। মেরামতির পরে ট্রেন চলাচল ফের স্বাভাবিক হয়। ফাটল কেন? রেলের বক্তব্য, তাপমাত্রার পরিবর্তনের ফলে রেললাইনে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। এখন আবহাওয়ার ঘনঘন পরিবর্তন হচ্ছে। ওঠানামা করছে তাপমাত্রাও। এটাই এ দিনের ঘটনার কারণ বলে রেলকর্তারা মনে করছেন।
|
পাটুলি থানার নাকতলায় রবিবার সকালে একটি পুকুরে এক প্রৌঢ়ার মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম চন্দনা কর্মকার (৫৬)। বাড়ি শ্রীকলোনিতে। প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন তিনি। একটু বেলার দিকে এলাকার পুকুরে এক মহিলাকে ভাসতে দেখে বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ শনাক্ত করেন মহিলার ছেলে। দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পুলিশের অনুমান, পা পিছলে পুকুরে পড়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তিনি অবসাদেও ভুগছিলেন বলে জেনেছে পুলিশ। |