|
|
|
|
যানজট মাটিতেই, আকাশে উড়বে গাড়ি |
সংবাদ সংস্থা • ব্রাটিসালভা (স্লোভাকিয়া)
১৯ জানুয়ারি |
সাধের গাড়িটি নিয়ে আপনি অফিসের দিকে বেরোলেন। হঠাৎই তীব্র যানজট। ব্যস, সেই যে থামলেন, নট নড়নচড়ন। সে মুহূর্তে আপনার মনে হতেই পারে“ইস্! গাড়িটা যদি উড়তে পারত তা হলে এ ভাবে আটকে থাকতে হতো না।” সুখবর। সে ইচ্ছে পূরণ হতে পারে শীঘ্রই। অন্তত তেমনই আশ্বাস দিচ্ছেন স্টেফান ক্লেন।
পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এবং ডিজাইনার স্টেফানের ঠাকুর্দা এবং বাবা দু’জনেই দক্ষ বিমানচালক ছিলেন। আকাশে ওড়ার তাগিদ স্টেফান যে উত্তরাধিকার সূত্রেই পেয়েছেন, সেটাও মানেন তিনি। তার পর অবশ্য বিশ্বের নামীদামি গাড়ি নির্মাণ সংস্থার মডেল বানানোকেই পেশা বানিয়েছিলেন স্লোভাকিয়ার এই বাসিন্দা। কিন্তু পাশাপাশি চলেছে উড়ন্ত-গাড়ির গবেষণাও। অবশেষে তা সফল হয়েছে বলে দাবি স্টেফানের।
আপাত ভাবে দেখলে অবশ্য আর পাঁচটা গাড়ির থেকে তাঁর তৈরি ছ’মিটারের গাড়িটির ফারাক বোঝা অসম্ভব। তবে বিমানবন্দরের কাছে এলেই স্বমূর্তি ধারণ করবে এটি। ক’সেকেন্ডের মধ্যেই ডানা মেলে বিমানের রূপ নেবে। উড়বে আকাশে। স্টেফানের দাবি, আকাশে ওড়ার সময় প্রতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে এর। এক বারে উড়তে পারে ৭০০ কিলোমিটার। কল্পবিজ্ঞানের এমন উড়ুক্কু-গাড়ির প্রথম পরীক্ষামূলক উড়ান হয়েছিল গত সেপ্টেম্বরে। এ বার জনসাধারণের জন্য তৈরি করা হবে উড়ন্ত-গাড়ি।
তবে এ হেন গাড়ি এই প্রথম নয়। চলতি বছরেই দু’টি মার্কিন এবং ওলন্দাজ সংস্থা এই ধরনের উড়ন্ত গাড়ি বাজারে আনবে বলে খবর।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এতেও নাক সিঁটকোচ্ছেন। স্লোভাক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির অধ্যাপক জ্যান লেসিনস্কি-এর মতে, “যখনই মানুষ হিসেব কষবেন যে এই ধরনের গাড়ি ঠিক কতটা জ্বালানি খরচ করবে, তখনই এর জনপ্রিয়তা কমবে।” বাস্তবিক। স্টেফানের দেওয়া তথ্য বলছে, আকাশে ওড়ার সময় প্রতি ঘণ্টায় ১৫ লিটার পেট্রোল পোড়াবে এই গাড়ি। অর্থাৎ পুরো বিষয়টি যে বেশ ব্যয়বহুল হবে, তা এখনই স্পষ্ট।
সে কথা অবশ্য মানছেন স্রষ্টাও। কিন্তু তাঁর মতে, “এ গাড়ি অন্তত পরিবহণের বিকল্প মাধ্যম হতেই পারে।” এর চালকদের গাড়ি চালানো এবং অন্তত ২৫ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবেই এই পক্ষিরাজকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে, দাবি স্টেফানের। |
|
|
|
|
|