|
|
|
|
বিস্ফোরণে হত ২০ পাক সেনা |
সংবাদ সংস্থা • ইসলামাবাদ
১৯ জানুয়ারি |
ফের পাকিস্তানে বড়সড় হামলা চালাল পাক তেহরিক-ই-তালিবান। তাদের লক্ষ্য ছিল, পাক সেনা বাহিনী।
আজ উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ২০ জন সেনার। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৮। আহতদের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দশ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সেনা বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, বান্নুর এক সেনা ক্যান্টনমেন্ট থেকে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সেনা সরানোর কথা ছিল আজ। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগায় জঙ্গিরা। সেনা সরানোর কাজে আনা হয়েছিল একটি বড় ভ্যান। তাতেই শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা ছিল। সকাল পৌনে ন’টা নাগাদ ক্যান্টনমেন্টের প্যারেড এলাকায় ভ্যানটি পার্ক করে রাখা ছিল। তাতে উঠে তখন যাওয়ার তোড়জোড় করছিলেন সেনারা। ঠিক তখনই বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে চার দিকে ছিটকে পড়ে সেনাদের দেহ। সেনা অফিসারেরা জানান, ছ’টি দেহ পুরোপুরি বিকৃত হয়ে গিয়েছে। ওই দেহগুলির ডিএনএ পরীক্ষার পরেই নিহতদের পরিচয় জানা যাবে। আজকের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছে পাক সেনাও। উপজাতি অধ্যুষিত ওয়াজিরিস্তান প্রদেশের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে আজই ফের অভিযান শুরু করেছে তারা।
কয়েক দিন ধরেই একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে গোটা পাকিস্তান জুড়ে। তাই আজকের বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পরই সুইৎজারল্যান্ড সফর বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ডাভোসে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক মঞ্চে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। আজ শরিফ এক বার্তায় বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে আমাদের দেশ একজোট হয়েছে। হানাহানিতে যে সব মানুষের প্রাণ গিয়েছে, তা বৃথা যাবে না।”
আজকের ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে পাক তেহরিক-ই-তালিবান। নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠনের তরফে সইদুল্লা সইদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের নেতার হত্যার প্রতিশোধ নিতেই আজকের হামলা।
তবে এর পাশাপাশি আজকের বার্তায় সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছে তারা। তাদের বক্তব্য, “আমাদের বার্তা খুব স্পষ্ট। সরকার যদি তার ক্ষমতা ও একাগ্রতা দেখায়, তা হলে আমাদের এত ক্ষতি সত্ত্বেও আমরা আলোচনায় বসতে রাজি।”
|
|
|
|
|
|