|
|
|
|
আগে কাজ পরে ইউনিয়ন, সম্মেলনে বার্তা দোলার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
টেলিকম সংগঠনের অস্থায়ী শ্রমিকদের এখনও সেভাবে সংগঠিত করতে পারেনি আইএনটিটিইউসি। রবিবার বর্ধমানের টেলিফোন ভবনে অনুষ্ঠিত বিএসএনএলের টেলিকম অস্থায়ী শ্রমিক ইউনিয়নের প্রথম রাজ্য সম্মেলনে এমনটাই বললেন রাজ্য আইএনটিটিইউসি সভানেত্রী দোলা সেন।
তাঁর কথায়, “রাজ্যে ওই ধরণের ক্যাজুয়াল শ্রমিক রয়েছেন ২২১৫। তার মধ্যে আমাদের সংগঠনে রয়েছেন ৩৫০ জন। আমাদের সংগঠনের সদস্যদের সংখ্যা আগামী এপ্রিলের মধ্যে অন্তত ১০০০ করতে হবে।” এছাড়া বিএসএনএলের বর্তমান দশা সম্পর্কে তিনি বলেন, “বিএসএনএল মুখ থুবড়ে পড়েছে। এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। শুধু এই সংস্থাতেই নয়। সমস্ত সংস্থাতেই কর্মী ও শ্রমিকদের কাজ করতে হবে। উৎপাদলশীলতা বজায় রাখতে হবে শ্রমিকদের। কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে কিন্তু তাঁদেরই সর্বনাশ।” ধর্মঘট, অবরোধ, ঘেরাও না করে টেবিলে আলোচনা করেই সমস্যা মেটানোর উপর জোর দেন তিনি। তখন মঞ্চে ছিলেন আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। দোলা সেন বলেন, “জেলার কোথাও বিল-প্যাড ছাপিয়ে চাঁদা তোলা যাবে না। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ রয়েছে। কাজ ফাঁকি দিয়ে ইউনিয়ন করা চলবে না। আগে কাজ, পরে ইউনিয়নের কাজ।” এই নির্দেশ রাজ্যের সর্বত্র আইএনটিটিইউসি সদস্যদের মেনে চলতে হবে বলেও বলেন তিনি। |
সম্মেলনে বক্তৃতা দিচ্ছেন দোলা সেন।—নিজস্ব চিত্র। |
প্রভাতবাবুও বলেন, “জেলার কোথাও কর্মীদের কাজে ফাঁকি দেওয়ার জেরে সংস্থা রুগণ্ হয়ে গিয়েছে কি না, তা দেখতে হবে। এমন ঘটে থাকলে সেই সংস্থাকে ফের চাঙ্গা করার দায়িত্বও কর্মীদেরই নিতে হবে।”
তবে বিএসএনএলের রুগ্ন হয়ে পড়ার কারণ হিসেবে ওই সম্মেলন উপলক্ষে প্রকাশিত খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিটি টেলিফোন এক্সচেঞ্জে অব্যবহৃত জায়গা পড়ে রয়েছে। ফলে অহেতুক প্রচুর টাকা গুণতে হচ্ছে। বিদ্যুতের ব্যবহার ঠিক মতো না হওয়ায় প্রচুর বিল আসছে। ল্যান্ড লাইনের গ্রাহকেরা প্রচুর টাকা বাকি রেখে লাইন সারেন্ডার করছেন। এছাড়া অত্যাধুনিক ব্রড ব্যান্ড পরিষেবা ঠিক মতো দিতে না পারাও লোকসানের একটি অঙ্গ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এছাড়া জিএসএম, বিটিএসে ঠিক মতো কাজ না হওয়াতেও লোকসান হচ্ছে বলে তাদের দাবি। |
|
|
|
|
|