|
|
|
|
টিএমসিপি নেতাকে মার, অভিযুক্ত সংগঠনেরই ৬ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা |
কালনা কলেজে মনোনয়ন তোলার দু’দিন আগেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল সংগঠনেরই অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে কালনা শহরের হালদার বাগান এলাকায়।
টিএমসিপির একটি গোষ্ঠীর দাবি, শনিবার রাতে টিএমসিপির দুই নেতা আসন্ন কলেজ নির্বাচন নিয়ে বৈঠক সেরে যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন তাদের মোটর বাইক প্রথমে তার দিয়ে আটকানো হয়। তার পরে তাঁদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারা হয়। আহত দুই ছাত্র নেতার নাম আজাহারউদ্দিন শেখ ও ইনদাদুল শেখ। তাঁদের প্রথমে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আজহারের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজহার হল বর্ধমান জেলা টিএমসিপির কার্যকরী সভাপতি ও ইনদাদুল হল কালনা কলেজ টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি। রবিবার সকালে ইনদাদুলকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পরে সে কালনা থানায় গিয়ে কালনা কলেজ ছাত্র সংসদের বর্তমান ক্রীড়া সম্পাদক পল দত্ত-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তেরা প্রত্যেকেই টিএমসিপি কর্মী বলেই পরিচিত। তবে অভিযুক্তদের অন্যতম সন্দীপ বসুর দাবি,“শনিবার যে সময়ে ঘটনাটি ঘটেছে তখন আমি বাড়িতেই ছিলাম। পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখুক।”
টিএমসিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ জানুয়ারি কালনা কলেজে মনোনয়ন তোলার দিন ঠিক করা হয়েছে। ভোট হওয়ার কথা ২৮ জানুয়ারি। কলেজে সংগঠনের প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে কালনা শহরে টিএমসিপি নেতা সমরজিৎ হালদারের বাড়িতে একটি বৈঠকে বসেছিলেন ধাত্রীগ্রাম, সমুদ্রগড়-সহ বিভিন্ন এলাকার টিএমসিপি নেতা-কর্মীরা। বৈঠক শেষে রাত দশটা নাগাদ তাঁরা যখন ধাত্রীগ্রামের দিকে ফিরছিলেন তখনই মারধরের ঘটনাটি ঘটে। কালনা ব্লক টিএমসিপির সভাপতি মঙ্গল দাস ও কালনা-২ ব্লকের বাসিন্দা টিএমসিপির রাজ্য কমিটির সম্পাদক পলাশ মণ্ডল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, “পুলিশকে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পুরো বিষয়টি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।”
তৃণমূল সূত্রে খবর, কালনা কলেজে বর্তমানে টিএমসিপি ছাড়া অন্য কোনও ছাত্র সংগঠনের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। কিন্তু তারপরেও কলেজ নির্বাচনের ঠিক আগে ছাত্র সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রাস্তায় নেমে যাওয়াকে দল মোটেই ভাল ভাবে নিচ্ছে না। এই ঘটনায় যাঁরা দোষী তাঁদের কড়া শাস্তি দেওয়ার দাবি উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, এই কালনা কলেজেই এক সময়ে এসএফআইয়ের ‘দাপটে’ টিএমসিপির ইউনিট তৈরি করতে পারা যায়নি। কিন্তু এখন দল যখন ক্ষমতায় তখন সবাই ‘ছাত্র নেতা’ হয়ে গিয়েছেন।
পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য তৃণমূলের নিভূজিবাজার কার্যালয়ে বৈঠক ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন দলের বর্ধমান (গ্রামীণ) জেলা সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি বলেন, “শনিবার রাতের ঘটনাটিকে দল অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।” |
|
|
|
|
|