নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
গতকাল রাতে আপ হাওড়া-অমৃতসর মেলে ডাকাতির ঘটনায় এখনও কেউ ধরা পড়েনি। রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেন হাওড়ার রেল পুলিশ সুপার মিলনকান্ত দাস ও এডিজি (রেল) একে সরকার। রেল পুলিশের দাবি, দুষ্কৃতীদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের আরপিএফের সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার অমরেশ কুমার বলেন, “আমরা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সুত্র পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে এখন সেই সব বলা যাবে না। দুষ্কৃতীদের ধরতে জিআরপি-র সঙ্গে যৌথ ভাবে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।” তাঁর সংযোজন, “আমরা শতকরা ৮০ শতাংশ ট্রেনে নিরাপত্তা দিই। তবে একমাত্র রাতের ট্রেনেই নিরাপত্তা দেওয়া হয়। অমৃতসর মেলের ঘটনাটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।”
শনিবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ আপ হাওড়া-অমৃতসর মেলের একটি অসংরক্ষিত কামরায় প্রায় ৫০ লাখ টাকা লুঠ করে পালায় একদল দুষ্কৃতী। ডাকাতির এই ঘটনাটি ঘটেছিল আসানসোল ডিভিশনের নিমচা হল্ট ও কালীপাহাড়ি স্টেশনের মাঝে। লুঠপাঠের সময় মারধর করা হয় বিহারের বক্সারের বাসিন্দা কয়েক জন পশু ব্যবসায়ীকে। ব্যবসার কারণে তাঁরা প্রায়ই ট্রেনে করে পানাগড়ে যাতায়াত করতেন। শনিবারও তাঁদের প্রায় ২০ জন দল বেঁধে পানাগড় থেকে ট্রেনে উঠে বক্সারে যাচ্ছিলেন। রেল পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুষ্কৃতীরা ওই কামরায় কয়েক জন পশু ব্যবসায়ীকেই শুধু আক্রমণ করেছিল। আর কারও কাছ থেকে লুঠপাট করা হয়নি।
ভরসন্ধ্যায় ট্রেনে অস্ত্র নিয়ে ডাকাতিতে যাত্রীরা নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। শনিবার রাতে ডাকাতির পরে ট্রেন যখন আসানসোল স্টেশনে এসে থামে তখনই যাত্রীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রহৃত যাত্রী রমেশ যাদব জানান, যে কামরায় ডাকাতি হয়, সেখানে কোনও নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন না। তাঁর অভিযোগ, “দুষ্কৃতীরা বেছে বেছে আমাদের মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে পালিয়ে গিয়েছে।” রেলের পরামর্শদাতা (কনসালটেটিভ) কমিটির সদস্য সুভাষ রায় বলেন, “ট্রেনে যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু যাঁদের উপরে তা দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁরা দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করছেন না।” তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত রেল পুলিশ এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। |