পুর এলাকা, তবু বিদ্যুৎ নেই কুলটির চার গ্রামে
পুরসভা এলাকায় বাস করেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধ্যা নামলেই ঘর আঁধার।
কুলটির চারটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি এখনও। কেরোসিনের কুপি বা হ্যারিকেনই ভরসা গ্রামবাসীর। অন্ধকার ঘোচাতে কেউ কেউ আবার হুকিং করে বিদ্যুৎ নিচ্ছেন। ওই চার এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহু বার আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আশ্বাস ছাড়া আর কিছু মেলেনি। কুলটি পুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানান, মাসখানেকের মধ্যে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে ওই চার গ্রামে।
কুলটি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বেজডিহি কুইড়িপাড়া, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের চিনাকুড়ি লাগোয়া খেয়ালচাঁদ ধাওড়া, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আইজি কলোনি এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিঠানি খড়মবাঁধবিদ্যুৎহীন এই চার এলাকা। সন্ধ্যার পরে গৃহস্থালীর কাজকর্ম থেকে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা, সবেই ভরসা হ্যারিকেন বা কুপি। এলাকা ঘুরে অবশ্য দেখা যায়, কয়েকটি ঘরে বিজলিবাতি জ্বলছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা জানান, ইস্কো, ইসিএল বা রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার লাইন থেকে চুরি করে এলাকার কেউ কেউ আলো জ্বালাচ্ছেন।

সন্ধ্যার পরে দেখা মেলে না আলোর। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কুইড়িপাড়ায়।—নিজস্ব চিত্র।
বেজডিহির কুইড়িপাড়ায় প্রায় বারোশো মানুষের বাস। গ্রামে ঢোকার মুখে বড় নিমগাছের তলায় সন্ধ্যায় কয়েক জন গল্প করছিলেন। তাঁদেরই এক জন বিষ্ণুদেও পণ্ডিত জানান, বহু বার আবেদন করেও বিদ্যুৎ মেলেনি। পুরসভার আধিকারিকেরা একাধিক বার দেখে গিয়েছেন। কিন্তু সেটাই সার। তাঁর আক্ষেপ, এলাকার পড়ুয়াদের কথা ভেবেও কেউ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করছেন না। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাশ দিয়ে গিয়েছে ইসিএলের বিদ্যুতের তার। সেখান থেকে চুরি করে বিদ্যুতের সংযোগ নিয়েছেন কেউ কেউ।
মিঠানির খড়মবাঁধ এলাকায় বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় ছ’শো। বুধন মাহালি নামে এক জন জানান, অন্ধকার ঘোচাতে তাঁদের গ্রামেরও কেউ কেউ বিদ্যুৎ চুরি করছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুলটির আইজি কলোনিতে সেল গ্রোথ ডিভিশনের কুলটি কারখানার বেশ কিছু আবাসন আছে। ২০০৩ সালে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে সেই সব আবাসনের বিদ্যুৎ কেটে দিয়েছে সংস্থা। কারখানার প্রাক্তন কিছু শ্রমিক-কর্মী ও বহিরাগত লোকজন এখন সেই সব আবাসনে থাকেন। এই আবাসনের পাশ দিয়ে গিয়েছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার লাইন। সেখান থেকেও অনেকে বিদ্যুৎ চুরি করছিলেন। কিন্তু মাসখানেক আগে বিদ্যুৎ কর্তারা ধরপাকড় শুরু করায় সেই সব অবৈধ সংযোগ ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এলাকাবাসীর দাবি, কুলটি পুরসভাকে অনেক দিন ধরে জানানো হলেও এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
কুলটির পুরপ্রধান তথা বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই এলাকাগুলিতে যে বিদ্যুৎ নেই, আমি জানি। বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। পুরসভার আর্থিক অনুদানেই এ সব অঞ্চলে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হবে।” উজ্জ্বলবাবুর দাবি, মিঠানির খড়মবাঁধ ও বেজডিহির কুইড়িপাড়ার জন্য প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। বাকি দু’টি এলাকার জন্যও অর্থ সাহায্য করা হবে বলে জানান তিনি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.