টুকরো খবর
চুঁচুড়া কোর্ট থেকে পালাল এক অভিযুক্ত
এজলাসে হাজির করানোর আগে শনিবার চুঁচুড়া আদালত ভবন থেকে পুলিশের হাত ছাড়িয়ে পালাল এক আসামী। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে ধরতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত ২২ ডিসেম্বর রিষড়ার বাঙুর পার্ক থেকে গাঁজা-সহ সুরজিৎ দাস ওরফে পিন্টু নামে ওই যুবককে ধরে পুলিশ। এত দিন সে জেল হাজতে ছিল। এ দিন মামলার শুনানি থাকায় সকালে পিন্টুকে চুঁচুড়া আদালতের দোতলায় কোর্ট লকআপে এনে রাখা হয়। দুপুরে বিশেষ কোর্টে শুনানির জন্য তাকে এজলাসে নিয়ে যাওয়ার সময়ে দোতলার বারান্দায় সে কতর্ব্যরত কনস্টেবল মিলন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে হ্যান্ড-কাপ পরা অবস্থাতেই চম্পট দেয়। পিন্টুর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, তোলাবাজি, ছিনতাই-সহ নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন সে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেড়াচ্ছিল। আদালত তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। এমন এক জন অভিযুক্ত কী ভাবে নির্বিঘ্নে চম্পট দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ ব্যাপারে অবশ্য সদুত্তর মেলেনি পুলিশকর্তাদের কাছে। হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তথাগত বসু বলেন, “পলাতক আসামীর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ওই কনস্টেবলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও হবে। একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।”

মনোনয়ন ঘিরে অশান্তি
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে প্রহৃত হয়ে শনিবার তারকেশ্বর ডিগ্রি কলেজে মনোনয়ন তুলতে পারলেন না টিএমসিপির বেশ কিছু পড়ুয়া। মারধরে জখম হন অন্তত ছ’জন। এক জনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। সন্ধে পর্যন্ত পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। এ দিন ওই কলেজে মনোনয়ন তোলার দিন ছিল। টিএমসিপি নেতা-কর্মীরা মনোনয়নপত্র তুলতে লাইন দেন। অভিযোগ, পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে কিছু ছেলে দলের অন্য গোষ্ঠীর ছেলেদের মারধর করে কলেজ থেকে বের করে দেয়। বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বিশ্বজিৎ সাঁতরা বলেন, “দলেরই কিছু ছেলে আমাদের মনোনয়ন তুলতে নিষেধ করছিল। না শোনায় মারধর করে।” তৃণমূল কাউন্সিলর উত্তম ভাণ্ডারী বলেন, “ওখানে কিছু ছেলেকে মারধর করা হয়েছে, এটা ঘটনা।” তৃণমূলেরই কাউন্সিলর তথা ছাত্রনেতা মহম্মদ নঈমের অবশ্য দাবি, “কোনও গোলমালই হয়নি।” কলেজ সূত্রের খবর, টিএমসিপি বাদে অন্য কোনও ছাত্র সংগঠন মনোনয়নপত্র তোলেনি।

জলকর উঠল কামারহাটিতে
শপথ নিয়েই জলকর তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন কামারহাটি পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। শনিবার কামারহাটি পুরসভার নতুন বোর্ড গঠন হল। দিন কয়েক আগে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর আফসানা খাতুন তৃণমূলে যোগ দেন। এর ফলে পুরসভার ৩৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে আসে ১৮টি। সিপিএমের আসন দাঁড়ায় ১৭টি। পুরসভার সিপিএম চেয়ারম্যান তমাল দে-র প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেন তৃণমূলের ১৭ কাউন্সিলর। এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন মদন মিত্র ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সভাপতি তৃণমূলের বিমল সাহা জানান, এত দিন বিরোধী দলনেতা থাকা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বপন দেবনাথকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করেছে দলীয় নেতৃত্ব। এ ছাড়াও আফসানা খাতুন, মিঠু দাস, সমীর দাস, নবীন ঘোষাল ও কালামুদ্দিন আনসারিকে চেয়ারম্যান পারিষদ করা হয়েছে।

কেবল অফিস ছাই
আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বসিরহাট শহরের একটি কেবল পরিষেবা দফতর। এর ফলে প্রায় ১০ হাজার গ্রাহক দিন কয়েক কেবল পরিষেবা পাবেন না। শুক্রবার গভীর রাতে বসিরহাটের ইটিন্ডা রোডে একটি মার্কেটে আগুন লাগে। ওই বাড়িতেই কেবল সংস্থার কন্ট্রোল রুম ছিল। মার্কেট ভবনটির মালিক ধোঁয়া ও আগুনের হলকা দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকলে। দমকলকমী:রা এসে শাটার ভাঙতে পারেননি। তাঁরা দেওয়াল ভেঙে জল ছিটিয়ে আগুন নেভান। ততক্ষণে কেবল সংস্থার কন্ট্রোল রুম পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ওই কেবল সংস্থার তরফে উজ্জ্বল বসু ও কৃষ্ণপদ দাস বলেন, “কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। কয়েকদিন পরিষেবা বন্ধ রাখা ছাড়া উপায় নেই।”

চেক পেয়ে ফেরালেন যুবক

থানায় রনি।
লক্ষাধিক টাকার তিনটি চেক কুড়িয়ে পেয়ে ফিরিয়ে দিলেন বিমাকর্মী রনি কুণ্ডু। পুলিশ জানায়, বনগাঁ ৬ বেঙ্গল ব্যাটেলিয়ন এনসিসি-র চতুর্থ শ্রেণির তিন কর্মীর নামে বেশ মোটা টাকার তিনটি চেক ছিল। মৃণালকান্তি হাজরা নামে এনসিসির এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী বৃহস্পতিবার দুপুরে চেকগুলি নিয়ে বনগাঁ ট্রেজারি থেকে ক্যাম্পে ফিরছিলেন। পথে সেগুলি খোওয়া যায়। রনি জানান, তিনি রাস্তায় চেকগুলি কুড়িয়ে পান। তাতে বনগাঁ ট্রেজারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নাম দেখে পরদিন ট্রেজারি ও বনগাঁ থানায় গিয়ে সব জানান রনি। শনিবার দুপুরে ব্যাটেলিয়ানের পক্ষে দু’জন থানায় আসেন। পুলিশের সামনে তাঁদের চেক দেন রনি।

শ্লীলতাহানি, নালিশ
বাড়ির পরিচারিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগে শান্তনু চট্টোপাধ্যায় নামে এক যুবককে ধরল হাবরা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় হাবরার বেড়গুম এলাকায় শান্তনুদের বাড়িতে কাজে গিয়েছিলেন ওই পরিচারিকা। বাড়িতে তখন শান্তনু ও তার ভাই অতনু ছাড়া আর কেউ ছিল না। অভিযোগ, দুই ভাই পরিচারিকার শ্লীলতাহানি করে। মহিলার চিৎকারে পাড়ার লোক এসে শান্তনুকে ধরে ফেললেও অতনু পালায়। পুলিশ শান্তনুকে গ্রেফতার করে।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.