বিশ্ব সম্মেলনের কর্মসূচি জানাতে সিআইআইকে আর্জি অমিতের
থা ছিল শিল্প ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকার করতে শনিবার নবান্নয় আসবেন বণিকসভা সিআইআই-এর কর্তারা। কিন্তু তা ছাপিয়ে উভয় পক্ষের বৈঠকে উঠে এল ১২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী বছর কলকাতায় বণিকসভার বিশ্ব সম্মেলনের প্রসঙ্গ। সিআইআই কর্তারা শিল্পমন্ত্রীকে ওই সম্মেলন আয়োজনের কথা জানালে অমিতবাবু তাঁদের কাছে সম্মেলনের ‘রোডম্যাপ’ তৈরির আর্জি জানান।
বৈঠক শেষে নবান্ন ছেড়ে আসার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা হয় সিআইআই কর্তাদের। শুভেচ্ছাও বিনিময় হয়। শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক কেমন হয়েছে, শিল্পকর্তাদের কাছে তাও জেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, কলকাতা থেকেই যাত্রা শুরু হয়েছিন অধুনা সিআইআই বলে পরিচিত এই বণিকসভাটির। ২০১৫ সালে ১২০ বছরে পা দেওয়া উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সম্মেলন এই শহরেই আয়োজনের ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীকে আগেই দিয়েছিলেন সিআইআই কর্তারা। সিআইআই জাতীয় পর্ষদের বৈঠকের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মমতার সঙ্গে তাঁদের এ প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। শুক্রবার পর্ষদের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে না-পারলেও মোবাইল ফোনে কথা বলার সময়ে সিআইআই কর্তাদের সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং রাজ্যের তরফে সব রকম সাহায্যের আশ্বাসও দেন।
এ দিন নবান্নয় অমিতবাবুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সিআইআই-এর ভাবী প্রেসিডেন্ট অজয় শ্রীরাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমিত মজুমদার, ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আঞ্চলিক ডিরেক্টর সৌগত মুখোপাধ্যায়। সেখানেই সম্নেলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইআই কর্তাদের ভাবনার কথা জানতে চান অমিতবাবু। বস্তুত, ওই আন্তর্জাতিক মানের সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে উভয়পক্ষই যথেষ্ট উৎসাহী। এবং এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করতে চায় তারা। কারণ যত আগে তা করা যাবে, দেশি-বিদেশি শিল্পপতিদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা ততই সহজ হবে। সম্মেলনের চেয়ারম্যান হচ্ছেন শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েন্কা।
পরে সুমিতবাবু বলেন, “এটা ‘পার্টনারশিপ সামিট’-এর চেয়েও বড় করে করতে চাই আমরা। দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের শিল্প সম্ভাবনাও ওই সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের কাছে তুলে ধরতে চাই।” শুধু বিদেশি শিল্পোদ্যোগীই নয়, বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক শীর্ষকর্তাদের আমন্ত্রণ জানাতে আগ্রহী সিআইআই। কারণ সাধারণ ভাবে তাঁদের সঙ্গে শিল্পমহলের প্রতিনিধিদল আসে। সে ক্ষেত্রে শিল্পায়নের সম্ভাবনা তৈরির বাড়তি সুযোগ পাবে রাজ্য।
অন্য দিকে, অমিতবাবুর মতে, রাজ্যে জাপানি লগ্নি সবচেয়ে বেশি। তাই তিনি মনে করেন, সে দেশের শিল্পমহলকে আমন্ত্রণ জানালে আখেরে রাজ্যের আরও লাভ হতে পারে। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত আমেরিকা বা ব্রিটেনের অংশীদারির প্রয়োজনীয়তার কথাও বণিকসভার কর্তাদের বলেন শিল্পমন্ত্রী। এই সম্মেলনে রাজ্য কী ভাবে সাহায্য করতে পারে, সে কথাও তাঁদের কাছে জানতে চান তিনি।
শিল্প সম্মেলন ছাড়া রাজ্যে শিল্পের প্রসারে কী কী করা যায়, তা নিয়েও একপ্রস্ত আলোচনা হয় এ দিনের বৈঠকে। শ্রীরাম ও সুমিতবাবু শিল্পমন্ত্রীকে জানান, এ রাজ্যে এখনও প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে সিআইআই রাজ্যকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে পারে, সে কথা জানতে চান অমিতবাবু। কর্তারা তাঁকে জানান, উৎপাদন শিল্পে সিআইআই-এর দক্ষতা রয়েছে। তাই সেই শিল্প নিয়েই তাঁরা এ রাজ্যে কাজ করতে আগ্রহী। এক কালে এ রাজ্যে উৎপাদন শিল্পের যথেষ্ট বাড়বাড়ন্ত থাকলেও এখন সেই গরিমা অতীত। এই হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারে রাজ্যের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করতে আগ্রহী সিআইআই।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.