গত এক সপ্তাহে তিনজন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ছয়জনের একটি দলকে বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের বন্ধ রেডব্যাঙ্ক চা বাগানে পাঠাল জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মৃত্যুর কারণ সমীক্ষা করে দেখবে প্রতিনিধি দল। তবে শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়ে স্বাস্থ্য কর্তারা এ দিন মুখ খোলেননি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগ্ননাথ সরকার বলেন, “সাধারণ ভাবে মৃত্যুর কারণ যা মনে হয়, সেটা নাও হতে পারে। তাই মৃত্যুর কারণ সমীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারব না।”
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরপাড়া হাসপাতালের সুপারকে ‘কড়া’ নির্দেশ দিয়ে চা বাগান বা লাগোয়া এলাকায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ যাতে না ওঠে তার জন্য নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ছয়জনের যে দলটি বাগানে পাঠানো হয়েছে তাঁর নেতৃত্বে আছেন জেলা জনস্বাস্থ্য দফতরের প্রধান তড়িৎ সরকার। দলটি বাগানের শ্রমিক বস্তি এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি, কোনও বাড়িতে অসুস্থ রোগী রয়েছেন কিনা, শ্রমিকদের চিকিৎসার কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা সেই বিষয়েও কথা বলবেন বলেছেন। এ ছাড়াও যে সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে আছেন তাঁরা কেমন কাজ করছেন সেই বিষয়েও খোঁজ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “বন্ধ বাগানে চিকিৎসা পরিষেবার সমস্যা থাকার কথা নয়। কারণ স্বাস্থ্য কর্মী ছাড়াও পিপিপি মডেলে সেখানে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে মঙ্গলবার ও শনিবার শিবির করে চিকিসার ব্যবস্থা করা হয়। ওঁরা সেই কাজ যথাযথ ভাবে করছেন কিনা তাও আমরা খতিয়ে দেখব।” স্বাস্থ্য কর্তারা জানান, শুধু রেডব্যাঙ্ক নয়, পাঁচটি বন্ধ এবং ৮ টি দুর্বল বাগানে ওই পরিষেবার ব্যবস্থা রয়েছে। বৃহস্পতিবার পাঠানো ছয় জনের দলটি খোঁজ নিয়ে যদি জানতে পারে চা বাগানের বাড়িতে কোনও রোগী আছে তবে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। আগামী সোমবার প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট দেখে প্রয়োজনে অন্য বন্ধ বাগানগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবার আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা এই দিন জানিয়েছেন। |