আগামী সোমবারের মধ্যে ধূপগুড়ি হাসপাতালের নবনির্মিত ভবন চালু করার নির্দেশ দিলেন জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে তিনি ওই নির্দেশ দিয়েছেন। এ দিন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, “দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছি। আশা করছি আগামী সোমবারের মধ্যে তা চালু হবে।”
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় গ্রামীন স্বাস্থ্য মিশনের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা খরচ করে ৬০ শয্যার ওই ভবনটি তৈরি হয়। গত ৫ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব ভবনের উদ্বোধন করেন। তবে সে সময়ে পানীয় জলের সংযোগ ছিল না। ফলে মন্ত্রী উদ্বোধন করার পরেও সেটা চালু করা সম্ভব হয়নি। শুধু তাই নয় দিল্লির পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই ভবনের ৪টি ওয়ার্ডে শৌচাগারে শুধু পশ্চিমী ধাঁচে ২২ টি শৌচালয় তৈরি করা হয়। সেই শৌচালয় ব্যবহার করা নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ায় অন্তত ১২টি শৌচালয় বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। গত ৩ জানুয়ারি সমস্যাটি নিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতি আলোচনায় ওই সংস্কার কাজে আর্থিক সমস্যার প্রসঙ্গ ওঠে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওই সংস্কারের কাজের জন্য আর্থিক সমস্যা হচ্ছিল। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বলে দিয়েছি অর্থের সমস্যা হবে না। যে ভাবে হোক কাজ শেষ করে সোমবার মধ্যে সেখানে রোগীর থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।”
যদিও সে সময়ের মধ্যে পুরো কাজ শেষ করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য কর্মীরা ধন্দে পড়েছেন। কারণ ওই হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সাফাই কর্মী নেই বলে জানা গিয়েছে। ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সাধন সরকার বলেন, “জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ পেয়েছি। শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য জলপাইগুড়িতে যাব। তবে রোগীরা স্বাস্থ্য কর্তাদের যুক্তি মানতে রাজি নন। তাঁদের অভিযোগ, আধিকারিকরা নতুন ভবনে রোগীদের থাকার ব্যবস্থা না করায় হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে ঠান্ডার মধ্যেই মেঝেতে শুয়ে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন প্রসূতিরা। একই দশা অন্য রোগীদেরও। নতুন ভবনটি চালু হলে এমন দুর্দশায় কাটাতে হত না বলে মনে করেন স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশও। |