ডুয়ার্সের নারী পাচার নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে ডুর্য়াসে এসেছে ইউনিসেফের প্রতিনিধি দল। এ দিন ডুয়ার্সের মালবাজার, বানারহাট এলাকায় ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা গিয়েছিলেন। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি, কয়েকটি চা বাগান এলাকাও পরিদর্শন করেছেন দলের সদস্যরা। ইউনিসেফের তরফে এই রাজ্যের প্রধান কর্মকর্তা আসাদুর রহমান এবং পারমিতা নিয়োগী ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সুস্মিতা ঘোষ এবং মালবাজারের মহকুমাশাসক জ্যোর্তিময় তাঁতিও উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন প্রথমে প্রতিনিধি দলটি ডুয়ার্সের মানাবাড়ি চা বাগান লাগোয়া তুড়িবাড়ি বস্তি এলাকায় যান। গত নভেম্বর মাসে ওই এলাকার এক কিশোরীকে ভিন রাজ্যে নিয়ে যাওয়া সময় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা উদ্ধার করেছিলেন বলে পুলিশ জানায়। ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রতিনিধিরা এ দিন আলোচনা করেছেন। কিশোরীর পরিবারের তরফেই তাঁকে কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে পাঠানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। উপাজর্নের আশায় মেয়েকে অচেনা ব্যক্তিদের সঙ্গে ভিনরাজ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত তাঁদের ভুল ছিল বলে এ দিন পরিবারের তরফে প্রতিনিধি দলকে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
ওই এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া আরেক কিশোরীর বাড়িতেও এ দিন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা গিয়েছিলেন। ওই কিশোরীর মা মীনা ওঁরাও প্রতিনিধি দলকে মেয়েকে ফিরিয়ে আনার আর্জি জানায়। কাজের খোঁজে দিল্লি গিয়েও ফের পালিয়ে আসা এক কিশোরীর বাড়িতেও গিয়েছিলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। প্রতিনিধি দলের সদস্য আসাদুর রহমান জানিয়েছেন, “ডুয়ার্সের নারীপাচারের সমস্যা রয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ ও পাচাররোধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ডুয়ার্সে এসেছি।”
বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনের পরে মালবাজার মহকুমাশাসকের দফতরে ব্লকের পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিনিধি দলটি। জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সুস্মিতা ঘোষ বলেন, “পাচার রুখতে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি এবং যারা পালিয়ে চলে এসেছে বা উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের এলাকাতেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, নাবালিকাদের ফের পড়াশুনোর মাধ্যমে মূলস্রোতে ফেরানোর বিষয়ে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।” এ দিন বিকালে প্রতিনিধি দলটি ডুয়ার্সের বানারহাট এলাকার দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ রেডব্যাঙ্ক চা বাগানেও গিয়েছিলেন। |