মাইক বাজিয়ে স্কুল মাঠে চলছিল তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভা। বাজতে থাকা মাইকের আওয়াজে বাধ্য হয়ে ছুটি দিতে হল আহিরণ জুনিয়র বেসিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনায় সমস্যায় পড়ে লাগোয়া আরও দুটি স্কুল।
আহিরণ জুনিয়র বেসিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সীমা রায় বলেন, ‘‘স্কুল মাঠ আমাদের হলেও ওখানে সভার অনুমতি আমরা দিইনি। তৃণমূলের নেতারা সুতি ১ বিডিও’র কাছে আবেদন করেন। বিডিও সভার উদ্যোক্তাদের নিয়ে আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। আমি বিডিওকে স্কুল চালানোর অসুবিধার কথা জানিয়ে ছুটির দিন বা বেলা তিনটের পর সভা করার কথা বলি। পরে বিডিও সভার অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন। আমাদের কথা কেউই শোনেননি।” |
তখন চলছে সভা। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়। |
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সভা মঞ্চ থেকে ৪০ মিটার দূরে তারস্বরে মাইকের আওয়াজে ক্লাস চালানো সম্ভব ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে ছুটি দিতে হয়। ওই মাইকের আওয়াজে একই সমস্যায় পড়েন ১০০ মিটার দূরের আহিরণ হেমাঙ্গিনী হাই স্কুলও। স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার ঘোষ বলেন, ‘‘ক্লাস করতে চরম অসুবিধে হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন যখন সভা করার অনুমতি দিয়েছে তখন সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া আর কীই বা করার আছে!”
সুতি ১ এর বিডিও বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ‘‘সভার অনুমতি দেওয়া হলেও মাইক বাজানোর কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেয়েই এক কর্মীকে পাঠিয়ে মাইক বন্ধ করতে বলি। তারপর কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে প্রধান শিক্ষিকাও স্কুল ছুটি দিয়ে ঠিক করেননি।’’
সুতি ১ সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক জিয়ারত আলি বলেন, ‘‘লিখিতভাবে অনুমতি নিয়েই সভা করেছি। মাইকের আওয়াজও ছিল অত্যন্ত কম। তাতে স্কুল চালাতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। এখন স্কুল কেন ছুটি দিলেন তা স্কুল কর্তৃপক্ষই বলতে পারবেন।” এ দিনের সভার প্রধান বক্তা ইদ্রিশ আলি অবশ্য বলেন, “সভা করতে গিয়ে স্কুলের অসুবিধে হোক এটা আমাদের নেত্রী সমর্থন করেন না। শুনেছি বৈধ অনুমতি নিয়েই সভার আয়োজন করা হয়েছে। তবুও বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। আসলে সভা বানচাল করার জন্য এ জেলায় কেউ কেউ চক্রান্ত করছেন।” |