মঞ্চে রাজ্যপাল, তরজা দু’দলের
স্কুলের অনুষ্ঠান। কিন্তু তাতেও বাদ গেল না রাজনীতির চাপানউতোর। সবংয়ের দশগ্রাম সতীশচন্দ্র সর্বার্থ সাধিকা শিক্ষাসদনের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের সামনেই নানা প্রতিশ্রুতি আর দাবি জানালেন কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতারা।
রাজ্যপালের বক্তব্য শেষ। তারপর একে একে বক্তব্য রাখলেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী প্রমুখ। শেষ বক্তা সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। তিনি দাবি করেন, “বিধায়ক তহবিলের বেশির ভাগ টাকাই আমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে থাকি। ৭৫ বছরে পা দেওয়া এই স্কুলকে আমি আরও ৫ লক্ষ টাকা দেব।” এখানেই থামেননি তিনি। কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাগুই বেসিনের জন্য যে কেন্দ্র অর্থ দিয়েছে এবং মানস ভুঁইয়ার ঐকান্তিক প্রচেষ্টাতেই যে তা হয়েছে, তা-ও জোরের সঙ্গে জানান মানসবাবু।
মানসবাবুর আগে বক্তব্য রাখা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের উত্তরা সিংহ তেমন কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি। তিনি শুধু বলেছিলেন, “স্কুলের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে কিছু দাবি জানানো হয়েছে। আমরা তা পূরণের চেষ্টা করব।” মানসবাবুর বক্তব্য শেষে বিদ্যুৎ ও ক্ষুদ্র-কুটিরশিল্প দফতরের কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের অমূল্য মাইতি আবার পাল্টা কিছু বলার দাবি তোলেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিতর্কে না গিয়ে অমূল্যবাবুকে সুযোগ দেন। আর সুযোগ পেয়েই অমূল্যবাবু ঘোষণা করেন, “এই স্কুলকে সর্বশিক্ষা অভিযান থেকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। তা দিয়ে অতিরিক্ত ক্লাসঘর তৈরি করবে স্কুল।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টাতেই যে কেলেঘাই- কপালেশ্বরী- বাগুই বেসিনের সংস্কার হয়েছে, আর সে জন্যই বৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও সবং এ বার বন্যায় ভাসেনি, সে দাবিও করেন অমূল্যবাবু। তিনি এ-ও জানাতে ভোলেননি যে, ‘ন্যাশনাল ফাইবার মিশন’ প্রকল্পে সবংয়ের মাদুর শিল্পীদের জন্য নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, জবলা গ্রামে দ্রুত বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে।
হঠাৎ করে রাজনীতির তরজায় অনুষ্ঠানের সুর কেটে যাওয়ায় উপস্থিত সাধারণ দর্শক থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ অস্বস্তিতে পড়ে যান। তাতেও রাজনৈতিক চাপানউতোর থামেনি। তৃণমূলের দু’জন বক্তব্য রেখেছেন, সভাধিপতি এবং কর্মাধ্যক্ষ। তাহলে কংগ্রেসের শুধু মানস ভুঁইয়া কেন? শেষ মুহূর্তে তাই জেলা পরিষদ সদস্য তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়াকেও বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। অমূল্যবাবুর পরেই বক্তব্য রাখেন তিনি। বিকাশবাবু বলেন, “একটা স্কুল কেন, সবংয়ে আরও অনেক স্কুল রয়েছে যাঁদের আর্থিক অনুদান প্রয়োজন। সেখানেও যাতে টাকা দেওয়া হয় সে জন্য জেলা পরিষদকে আবেদন জানাব।”
অনুষ্ঠানের সুর কাটলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের কিন্তু খুশি হওয়ার কথা। কারণ, দুই দলের তরজায় এক ধাক্কায় ১৫ লক্ষ টাকার আশ্বাস পাওয়া গেল।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.