অন্তঃসত্ত্বা নার্সের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে ব্যান্ডেলে। ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছেন ওই তরুণী। মঙ্গলবার ওই ঘটনার পরে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তরুণী থাকেন ব্যান্ডেল থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের কর্মী আবাসনে। সেখানকার হাসপাতালেই কাজ করেন। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বেলা ১টা নাগাদ ওই তরুণী স্নান সেরে ভিজে কাপড় শুকোতে দিতে ঘরের বাইরে আসেন। শীতের দুপুরের রোদে খানিক ক্ষণ দাঁড়িয়েছিলেন। মগরা থানার পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, হঠাৎই হনুমান টুপি পড়া এক যুবক পিছন থেকে জাপটে ধরে। তিনি মাটিতে পড়ে যান। আতঙ্কে চিৎকার শুরু করেন। আবাসনের বিভিন্ন ঘর থেকে মহিলারা ছুটে আসেন। টহলরত আবাসনের এক নিরাপত্তারক্ষীও চলে আসেন। তিনি হামলাকারী যুবকের পিছু ধাওয়া করেন। অন্য আরও এক নিরপাত্তাকর্মী দৌড়ে আসেন। জুতো রাস্তায় ফেলে পাঁচিল টপকে পালিয়ে যায় ওই যুবক। ছুটোছুটি হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়ে এক নিরাপত্তাকর্মীর মাথা ফাটে। আবাসনের বাসিন্দারা সেখানকার হাসপাতালে নিয়ে যান ওই তরুণীকে। হাসপাতালের সুপার এস সাঁতরা বলেন, “উনি গত এক বছর আমাদের হাসপাতালে কর্মরত। ঘটনাটি ওঁর শরীরে-মনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে।” শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তরুণীকে মঙ্গলবারই পাঠানো হয় কলকাতায়। বৃহস্পতিবার কর্মী আবাসনে তদন্তে আসেন বর্ধমান রেঞ্জের ডিআইজি এল এন মিনা, হুগলির পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী এবং ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) দেবশ্রী সান্যাল। এই ঘটনায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যদিও মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার প্রদ্যুতকুমার ঘোষ।
|