পৌষ সংক্রান্তিতে হুগলি ও হাওড়া, দুই জেলাতেই বসল পীরের মেলা। বুধবার থেকে হুগলির ধনেখালির শাহবাজার গ্রামে শুরু হয়েছে প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন এই মেলা। চলবে ১০ দিন ধরে। অন্য দিকে, মঙ্গলবার থেকে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বাণীবন গ্রামে শুরু হয়েছে দেড়শো বছরের পুরনো মেলা। চলবে পনেরো দিন।
|
জঙ্গলবিলাস মেলায় রঙিন সাজে নিজেকে সাজিয়ে নিচ্ছেন এক তরুণী। ছবি: সুব্রত জানা। |
ধনেখালির সৈয়দ শাহ গোলাম আলি কেরমানির মাজার সংলগ্ন এলাকায় শুরু হয়েছে মেলা। হরেক আয়োজনে ঠাসা মেলায় শাঁকালুর কদরই বেশি। মেলায় শাঁকালু খাওয়ার ঐতিহ্য প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে বলে জানান মেলা কমিটির সৈয়দ মহম্মদ মুসা। মেলার চতুর্থ দিন থেকে শুরু হয় যাত্রাপালা, কাওয়ালি সহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। ‘জঙ্গলবিলাস মেলা’ নামে খ্যাত বাণীবনে হাটতলায় পীরবাবার মাজার-সংলগ্ন বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বসেছে মেলা। মকর সংক্রান্তির দিন ভোরে মাজার-সংলগ্ন পীরের পুকুরে স্নান করেন পুণ্যার্থীরা। সংক্রান্তির দিন সারারাত ধরে চলে এই মেলা। বসে কাওয়ালি গানের আসর। মেলায় বিশেষ করে বিখ্যাত কালো মাটির হাঁড়ি, শাঁকালু, শুকনো মাছ, বাঁশের তৈরি ধুচুনি, ঝোড়া প্রভৃতি। দুই মেলাতেই জেলা এবং জেলার বাইরে থেকেও আসেন বহু মানুষজন। |