আগামী ৩০ জানুয়ারি ব্রিগেডে সভা করে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করবে তৃণমূল। তার আগে বৃহস্পতিবার চুঁচুড়ার গোর্খা ময়দানে এক জনসভায় এসে রাজ্যের নানা প্রান্তে ঘটে যাওয়া মেয়েদের উপরে আক্রমণের ঘটনায় বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করলেন রাজ্য যুব তৃণমূল সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি, রাজ্যের উন্নয়নে শাসক দলের কাজের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন তিনি। অভিযোগ করেন, রাজ্যে উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই রাজ্যে উন্নয়নের স্বার্থে কেন্দ্রে চালকের ভূমিকা নিতে হবে তৃণমূলকে। তার জন্য ৪২টি সাংসদ আসনেই তাঁদের জেতানোর জন্য আহ্বান করেন তিনি। |
বক্তা যখন শুভেন্দু।—নিজস্ব চিত্র। |
সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মেয়েদের উপরে ঘটে চলা আক্রমণ নিয়ে বারবার শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বামেরা। এ দিন শুভেন্দু নেতাই থেকে নন্দীগ্রাম হত্যাকাণ্ড বা সিঙ্গুরে তাপসী মালিকের ধর্ষণে সিপিএম নেতাদের নাম জড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, “কামদুনির ঘটনা নিশ্চয়ই নিন্দনীয়। কিন্তু যাঁরা সমালোচনা করছেন তাঁদের মুখে ওই সব মানায় না। সিঙ্গুরে একটা ১৮ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে দেওয়া হল। সিবিআইয়ের হাতে ধৃত সিপিএমের দেবু মালিক তদন্তকারীদের বললেন, আমি সিপিএমের সিঙ্গুরের তত্কালীন জোনাল সম্পাদক সুহৃদ দত্তের নির্দেশে ওই কাজ করেছি। সিবিআই তাঁকেও গ্রেফতার করে। নেতাই থেকে নন্দীগ্রামে নারী নির্যাতন আর খুনের রক্তে যাঁদের অতীত রাঙা, তাঁদের মুখে এই সরকারের সমালোচনা মানায় না।”
এ দিন চুঁচুড়ার জনসভায় বেশ ভিড় হয়। তা দেখে উচ্ছ্বসিত শুভেন্দু বলেন, “আমি নিশ্চিত, হুগলির মানুষই সমাবেশে বিগ্রডের অর্ধেকটা ভরিয়ে তুলবেন।”সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত, বিধায়ক অসীমা পাত্র, রাজ্যের কৃষিপ্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না, হুগলি জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব প্রমুখ। তপনবাবু বলেন, “রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ারে দিশেহারা সিপিএম নেতারা পাগলের মত উল্টোপাল্টা বকছেন। কন্যাশ্রী প্রকল্প, ১০০ দিনের কাজ, শিল্পায়ন ওঁরা দেখতে পাচ্ছেন না। দেখছেন কেবল নারী নির্যাতন।” দিলীপবাবুও এ দিন বলেন, “উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে ওদের কুত্সার জবাব দিতে চাই আমরা।” |