|
|
|
|
মিজোরাম থেকে ফের ত্রিপুরায় রিয়াং শরণার্থীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা
১৬ জানুয়ারি |
ফের প্রতিবেশী মিজোরাম থেকে রিয়াং উপজাতির কয়েক’শো আতঙ্কিত মানুষ ত্রিপুরায় আশ্রয় নিয়েছেন। ঘটনার সূত্রপাত রিয়াং উপজাতি অধ্যুষিত মিজোরামের মামিত জেলায়। গত নভেম্বরে মিজোরামের দুই গাড়িচালক ও এক বেসরকারি টেলিকম কোম্পানির বাঙালি ইঞ্জিনিয়ারকে অপরহণ করে এনএলএফটি জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। অভিযোগ, ব্রু তথা রিয়াং জঙ্গিরা ওই মিজো চালকদের অপহরণ করে এনএলএফটি-র হাতে তুলে দেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অভিযোগ ওঠার পরেই মামিত জেলায় রিয়াংদের বাড়িঘরে হামলা শুরু হয়।
মিজোরাম থেকে পালিয়ে আসা রিয়াং শরণার্থীরা অভিযোগ করেছেন, জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে অপহৃত ব্যক্তিদের মুক্তি না দিলে মামিত জেলার রিয়াং সম্প্রায়দায়ের মানুষদের উপর হামলা চালানো হবে বলে স্থানীয় একটি সংগঠন হুমকি দিয়েছে। উত্তর ত্রিপুরার পুলিশ সুপার অভিজিৎ সপ্তর্ষি বলেন, ‘‘গত কয়েকদিনে কয়েক’শো রিয়াং আতঙ্কিত হয়ে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে উত্তর ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন।’’ উত্তর ত্রিপুরার প্রধানত কাঞ্চনপুর ও জম্পুই এলাকায় ওই শরণার্থীরা আশ্রয় নিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে ইতিমধ্যেই মিজো প্রশাসন আতঙ্কিত রিয়াং শরণার্থীদের স্বভূমিতে ফিরিয়ে নিতে তৎপর হয়েছেন বলে পুলিশ সুপার জানান। কাঞ্চনপুরে এসে তাঁরা শরণার্থী শিবিরে কথাবার্তাও বলেছেন। আশা করা হচ্ছে, নতুন করে আসা রিয়াং শরণার্থীরা স্বভূমি মিজোরামে কয়েক দিনের মধ্যেই ফিরে যাবেন। তবে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’-তিন দিনে প্রায় ২৪০ জন রিয়াং শরণার্থী উত্তর ত্রিপুরায় চলে এসেছেন। বেসরকারি তথ্য অনুসারে, নতুন রিয়াং শরণার্থীর সংখ্যা আরও বেশি। উল্লেখ্য, ১৪-১৫ বছর আগে মিজোরামের এক দাঙ্গার শিকার হয়ে হাজার হাজার রিয়াং বাড়িঘর ছেড়ে ত্রিপুরার কাঞ্চনপুর এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁদের অধিকাংশই আজও স্বভূমিতে ফিরে না গিয়ে শরণার্থী শিবিরে দিন কাটাচ্ছেন। |
|
|
|
|
|