|
|
|
|
দুর্নীতি রুখতে ডিএম-দের বেশি ক্ষমতা দেবেন নীতীশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা
১৬ জানুয়ারি |
দুর্নীতি রুখতে জেলাশাসকদের হাতে আরও ক্ষমতা দিতে চান নীতীশ কুমার। সে জন্য আইন সংশোধনের পথে এগোচ্ছে বিহার সরকার।
গতকাল এ বিষয়ে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন জেলার ডিএম এবং এসপি-দের সঙ্গে ‘ভিডিও কনফারেন্স’-এও কথা বলেন। বৈঠকে তিনি বলেন, “দুর্নীতির সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পাওয়া যায় থানা, ব্লক এবং সার্কেল স্তরে। কেউ শংসাপত্র নিতে গেলে, তাঁদের কাছ থেকেও ঘুষ নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ শুনছি। এ সব একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না।” জেলাশাসকদের এ নিয়ে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন নীতীশ। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এ ধরনের কোনও অভিযোগ পাওয়া গেলে, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
বৈঠকে জেলাশাসকরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে শুধুমাত্র সুপারিশ করা ছাড়া তাঁদের হাতে কোনও ক্ষমতা নেই। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, সুপারিশ স্বত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ কোনও তদন্ত করে না।
এ কথা জানার পর মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসকদের আরও বেশি ক্ষমতা দিতে আইন সংশোধনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবেন বলে জানিয়ে দেন। বৈঠকে হাজির ভিজিল্যান্সের ডিজি পি কে ঠাকুরের সামনে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিজি-কে তিনি বলেন, “ট্র্যাপ কেসের সংখ্যা কম হচ্ছে কেন?” ডিজি তাঁকে জানান, কর্মীর অভাবে কাজে সমস্যা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে রাজ্য পুলিশের ডিজি অভয়ানন্দকে নির্দেশ দেন নীতীশ।
ক্ষমতায় বসেই নীতীশ জানিয়েছিলেন, রাজ্য প্রশাসনে দুর্নীতিকে কোনওভাবেই তিনি প্রশ্রয় দেবেন না। তেমন অভিযোগের ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ৯৫ জন সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৫৭৬ জন সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। ওই সব অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত দু’মাসের মধ্যে শেষ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের কী শাস্তি দেওয়া হল, তা সংবাদমাধ্যমকে জানাতে বলেছেন।
রাজ্যের মুখ্যসচিব অশোক কুমার সিন্হা বলেন, “দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত কর্মীদের বরখাস্ত করাই সরকারের নীতি। দু’মাসের মধ্যেই সমস্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ৫৭৬ জনের মধ্যে ১৮৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|