|
|
|
|
রাঁচিতে দু’টি বাসের সংঘর্ষ, ৪ জনের মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি ও উলুবেড়িয়া |
বাসে করে নেতারহাটে পিকনিকে যাওয়ার পথে রাঁচির গুমলার ভারনো থানা এলাকায় এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন উলুবেড়িয়ার দুই বাসিন্দা। মারা যান গুমলার স্থানীয় দু’জনও। বৃহস্পতিবার সকাল ন’টা নাগাদ ওই বাসটির সঙ্গে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। জখম হন অন্তত ২০ জন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্ঘটনায় উলুবেড়িয়ার যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের নাম উদয়ন রাইল (৪৮) এবং অণিমা ধারা (৫৬)। দু’জনেই স্থানীয় কালীনগর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। আরও যে দু’জনের মৃত্যু হয়, এ দিন বিকেল পর্যন্ত তাঁদের পরিচয় পুলিশ জানাতে পারেনি।
বুধবার রাতে কালীনগর গ্রাম থেকে এক বস্ত্র ব্যবসায়ীর বেশ কয়েক জন কর্মচারী এবং তাঁদের আত্মীয়েরা বাসে করে নেতারহাটের উদ্দেশে রওনা হন। সব মিলিয়ে বাসে প্রায় ৫৪ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনাটি ঘটে ২৩ নম্বর জাতীয় সড়কে ডোঙ্গো মন্দিরের কাছে। অন্য বাসটি গুমলা থেকে রাঁচির দিকে যাচ্ছিল। ওই বাসেও প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। |
নেতারহাটের পথে ঝাড়খন্ডের গুমলায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত উলুবেড়িয়ার বাস। —নিজস্ব চিত্র। |
গুমলা জেলা পুলিশ জানাচ্ছে, রাঁচিগামী বাসটির চাকা ফেটে যাওয়ায় সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাওড়ার বাসটিকে এসে ধাক্কা মারে। দু’টি বাসেরই সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে কার্যত উড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই উলুবেড়িয়ার ওই দু’জন-সহ তিন জন মারা যান। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আর এক জনের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার শব্দে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে যান। পুলিশ আসার আগেই বাসের জানলা ভেঙে তাঁরা আহতদের উদ্ধারের কাজে নেমে পড়েন। তাঁদের গুমলা সদর হাসপাতাল এবং রাঁচির রিমস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। উদ্ধারকারীরা জানান, দুঘর্টনার পরে যাত্রীদের কয়েক জন অন্য যাত্রীদের নীচে চাপা পড়ে কাতরাতে থাকেন। ওই ভাবে চাপা পড়েই হাওড়ার দু’জনের মৃত্যু হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। তবে, দুর্ঘটনার পরে দু’টি বাসের চালককেই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেই দাবি স্থানীয়দের। |
|
|
|
|
|