বন্দরের জমি লিজ দিতে হবে নিলামেই
লকাতা, হলদিয়া-সহ দেশের ১২টি বন্দরের হাতে থাকা জমি ব্যবহারের নতুন নীতি ঘোষণা করল জাহাজ মন্ত্রক। এখন থেকে বন্দরগুলির হাতে থাকা জমি আর চাইলেই লিজ দেওয়া যাবে না। তার জন্য রীতিমতো নিলামের ব্যবস্থা করতে হবে। নিলামে যে-সংস্থা সর্বোচ্চ দর দেবে, জমি তুলে দিতে হবে তাদের হাতেই। নয়া নীতিতে জমি থেকে বন্দরের বেশ কিছু আর্থিক প্রাপ্তির আশা করছেন বন্দর-কর্তারা।
নতুন নীতি অনুযায়ী প্রতিটি বন্দরের অছি পরিষদ ৩০ বছরের জন্য জমি লিজ দিতে পারবে। এখন বন্দর-কর্তৃপক্ষ মাত্র পাঁচ বছরের জন্য জমি লিজে দিতে পারেন। তবে কলকাতা পুর এলাকায় এখনই এই নীতি কার্যকর হচ্ছে না। এটি বলবৎ হবে কলকাতা পুর এলাকার বাইরে থাকা বন্দরের জমির ক্ষেত্রে। কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান রাজপাল সিংহ কাহালোঁ বলেন, “কলকাতা পুর এলাকার জন্য পৃথক নীতি তৈরি করা হবে। মন্ত্রক যে জমি-নীতি ঘোষণা করেছে, তাতে বন্দরের হাতে থাকা জমি লিজ দিয়ে মোটা টাকা রোজগার হবে। লিজ-গ্রহীতারাও ৩০ বছরের জন্য জমির স্বত্ব পেতে পারবেন।”
বন্দর সূত্রের খবর, এত দিন বিভিন্ন বন্দর মাত্র পাঁচ বছরের জন্য জমির লিজ দিতে পারত। কিছু ক্ষেত্রে অছি পরিষদ নিজেদের পছন্দমাফিক এবং কিছু ক্ষেত্রে দরপত্র ডেকে জমি বিলি করতে পারত। এখন দরপত্রের পাশাপাশি নিলামের ব্যবস্থাও চালু হবে। সেটা হবে কী ভাবে?
কলকাতা বন্দরের এক কর্তা জানান, এ বার থেকে জমি বিলির সময় প্রথমে দরপত্র ডাকা হবে। তাতে সর্বোচ্চ যে-দর উঠবে, সেটাই হবে নিলামের ‘ফ্লোর প্রাইস’ বা প্রাথমিক দর। তার পরে যাঁরা দরপত্রে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকে নিলামে যোগ দেবেন। সেখানে সর্বোচ্চ যে-ডাক আসবে, সেটাই হবে জমির চূড়ান্ত দাম। তবে ওই জমি এখন যাঁর হাতে রয়েছে, তাঁকে ‘রাইটস অব ফার্স্ট রিফিউজাল’ (প্রথমে না বলার অধিকার)-এর সুযোগ দেওয়া হবে। অর্থাৎ যাঁর হাতে জমি রয়েছে, তিনি যদি নিলামে ওঠা সর্বোচ্চ দর দিতে পারেন, তা হলে সেটা অন্য কারও হাতে যাবে না। তিনি যদি ‘না’ বলেন, তখনই অন্য ক্রেতা জমিটি পাবেন।
কলকাতা পুর এলাকার মধ্যে থাকা বন্দরের জমি লিজ দেওয়ার কোনও নীতি এখনও ঠিক হয়নি। বন্দর-কর্তৃপক্ষ শহরের জমি ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিতে চাইছেন। নিলামের মাধ্যমে ওই জমি বিক্রি করে যে-টাকা উঠবে, তা দিয়ে কলকাতা বন্দরের পেনশন তহবিল গড়া হবে।
বন্দর-কর্তারা জানান, সরকারি সংস্থা ও স্কুল-কলেজের জন্য অছি পরিষদ নিজেদের পছন্দমতোই জমি দিতে পারবে। তবে মন্ত্রক যে-ভাড়া নির্ধারণ করে দেবে, তার ৫০ শতাংশের বেশি কমানোর অধিকার থাকছে না বন্দর-কর্তৃপক্ষের।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.