|
|
|
|
প্রবল ঠান্ডায় সকালের স্কুল ছুটি ধানবাদে
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি
১৬ জানুয়ারি |
কোথাও হাড়-কাঁপানো ঠান্ডা, কোথাও গায়ে রাখা যাচ্ছে না সোয়েটারশীত এমনই খামখেয়ালি ঝাড়খণ্ডে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গতকাল রাঁচির কাঁকেতে তাপমাত্রার পারদ নেমেছিল ১ ডিগ্রিতে। বুধবারই এ রাজ্যে শীতলতম দিন ছিল। আজ কাঁকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৯.১ ডিগ্রিতে। সর্বোচ্চ ২৫ ডিগ্রি।
কেন এই পরিস্থিতি? বিরসা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিভাগের বিজ্ঞানী এ ওয়াদুদের কথায়, “এ বার তাপমাত্রা অত্যন্ত দ্রুত ওঠানামা করছে। কয়েক বছরে এমন অবস্থা হয়নি। উষ্ণায়নের জেরেই এটা হচ্ছে।”
বড়দিনের পর থেকেই হাড়-কাঁপানো ঠান্ডা থাকে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলায়। চলে শৈত্যপ্রবাহও। হাওয়ার দাপটে দিনের বেলাতেও কানঢাকা টুপি পড়তেই হয়। কিন্তু এ বার রাঁচিতে তেমন শীত বোঝা যাচ্ছে না। কিছুটা ঠান্ডা পড়ছে ভোরের দিকে। |
স্কুলে এসেই ছুটির খবর। প্রবল ঠান্ডায় আগামী সোমবার পর্যন্ত ধানবাদের
সব স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার চন্দন পালের তোলা ছবি। |
ওয়াদুদের ব্যাখ্যাশ্রীনগর, লে, লাদাখ বা অমৃতসরের থেকে ঠান্ডা হাওয়া এখানে আসে। কিন্তু এ বার কাশ্মীরে বরফ পড়লেও, তা তাড়াতাড়ি গলে যাচ্ছে। যে কারণে এখানেও ঠান্ডা তেমনভাবে উপলব্ধি করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, “সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামলেই ঠান্ডা বাড়বে না। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কমতে হবে।”
বোকারো বা ধানবাদে ছবিটা অন্যরকম। আজ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকেছিল ধানবাদ। একই পরিস্থিতি ছিল বোকারোতে। বুধবার বোকারোর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যায় ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি। প্রবল ঠান্ডার জেরে দু’টি জেলাতেই সকালের স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। ধানবাদে মকর সংক্রান্তির আগে থেকে আজ পর্যন্ত স্কুলগুলিতে ছুটি ছিল। কিন্তু আজও স্কুল খোলেনি। বেড়েছে ছুটির মেয়াদ। বোকারোতে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
পলামু বা লাতেহারের মতো পাহাড়-জঙ্গলঘেরা জেলাগুলিতেও সকালের স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রবল ঠান্ডায় কাঁপছে গিরিডিও। বুধবার রাতে সেখানে তাপমাত্রা নেমেছিল ৭ ডিগ্রিতে। সাহেবগঞ্জে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.৬ ডিগ্রি। শীতে অনেক জেলার গ্রামে-গ্রামে প্রশাসনের তরফে
বিশেষ কোনও ব্যবস্থা না-নেওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে। |
|
|
|
|
|