অবশেষে মাছের তেলেই মাছ ভাজার পথে হাঁটল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।
রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডিয়ান অয়েলের (আইওসি) ১০% (২৪.২৭ কোটি) শেয়ার বিক্রিতে অবশেষে সায় দিল অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের নেতৃত্বাধীন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিগোষ্ঠী। তবে বাজারে শেয়ার ছেড়ে নয়, এই বিলগ্নিকরণে শেয়ার হস্তান্তর করা হবে শুধুমাত্র অপর দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওএনজিসি এবং অয়েল ইন্ডিয়াকে (ওআইএল)। অর্থাৎ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার থাকছে সরকারের ঘরেই, অথচ হস্তান্তর মারফত কেন্দ্র ৪,৮০০ থেকে ৫,০০০ কোটি টাকার মতো পাবে বলে আশা। এখন কেন্দ্রের হাতে আইওসি-র ৭৯% শেয়ার রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঠিক এক সপ্তাহ আগে, গত ৯ জানুয়ারি চিদম্বরমের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিগোষ্ঠীই তেল মন্ত্রকের আপত্তিতে পিছিয়ে দিয়েছিল আইওসি-র ১০% শেয়ার বিক্রি। বাজার দর ভাল না-থাকায় সংস্থাটির এই মূহূর্তে আর এক দফা শেয়ার বিক্রিতে আপত্তি জানায় তেল মন্ত্রক। আগেও তেলমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি বলেছিলেন, গত ৫২ সপ্তাহের মধ্যে আইওসি শেয়ারের সর্বোচ্চ দর ৩৭৫ টাকা ছুঁয়েছিল ২০১৩-র ১৮ জানুয়ারি। এর চেয়ে কম দামে তা বিক্রি অসম্ভব। এ দিনের সিদ্ধান্তের পর তেল ও অর্থ মন্ত্রকের এই চাপান-উতোরের সম্ভাবনা আর রইল না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ, বাজারে শেয়ার বিক্রি না-করেই আইওসি-র ১০% বিলগ্নিকরণ হতে চলেছে। তেল শোধন ও বিপণন সংস্থা আইওসি-র শেয়ার হাতে নিচ্ছে দুই তেল খনন সংস্থা ওএনজিসি এবং ওআইএল।
বৃহস্পতিবার মইলি জানান, থোক হিসেবে ওএনজিসি এবং ওআইএল স্টক এক্সচেঞ্জ মারফত আইওসি-র শেয়ার কিনবে। শীঘ্রই স্থির হবে তার পদ্ধতি। তেল মন্ত্রকের সচিব বিবেক রাই ইঙ্গিত দেন, সম্ভবত আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সম্পূর্ণ হবে লেনদেন। তবে ওএনজিসি এবং ওআইএল পরিচালন পর্ষদ সায় দেওয়ার পরই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। ওএনজিসি চেয়ারম্যান সুধীর বাসুদেব জানান, সম্ভবত ১০% শেয়ারের সমান ভাগীদার হবে দুই তেল খনন সংস্থা। সে ক্ষেত্রে ওএনজিসি ৫% শেয়ার নেবে
২২০০-২৩০০ কোটি টাকার মধ্যে। ইতিমধ্যেই সংস্থার হাতে ৮.৭৭% আইওসি শেয়ার আছে। রাই জানান, থোক বিলগ্নিকরণের পথ সাধারণ ভাবে বাছা হয় না। কিন্তু বাজারে আইওসি-র শেয়ার দর ভাল নয় বলেই রাজস্ব ঘরে তুলতে এই পদক্ষেপ। |