আমানতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও গচ্ছিত টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বর্ধমানের এক লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে এক গ্রাহকের স্বামী বর্ধমান থানায় ওই অভিযোগ করেন। পুলিশ এখনও ওই লগ্নি সংস্থার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে তাঁর দাবি।
২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর ওই লগ্নি সংস্থায় মোট ১ লক্ষ টাকা জমা দেন বর্ধমানের রসুলপুরের প্রতিমা ঘোষ। গত বছর ২৮ নভেম্বর ওই আমানতের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও টাকা ফেরত না মেলায় তাঁর স্বামী উদয় ঘোষ থানায় অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগ, সংস্থার দুই ম্যানেজিং ডিরেক্টর শান্তনু তথাগত পাল ও কৌশিক দাসের কাছে বারবার আমানতের টাকা ফেরত দেওয়ার আবেদন জানানো হলেও লাভ হয়নি।
উদয়বাবুর অভিযোগে , প্রথমে নানা ভাবে হয়রান করা হত তাঁদের। পরের দিকে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেন ওই সংস্থার কর্তারা। মঙ্গলবার বর্ধমান থানা অভিযোগ পেয়ে প্রতারণা ও হুমকি সংক্রান্ত ধারায় মামলা দায়ের করে। কিন্তু পুলিশ ওই সংস্থার অফিসে গত ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যায়নি বা সংস্থার যে সব কর্তা বর্ধমানে বাস করেন তাঁদের থানায় ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি বলে উদয়বাবুর দাবি। বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “অবিলম্বে ওই সংস্থার অফিসে ও কর্তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হবে।” দিলীপবাবুর দাবি, “ওই অভিযোগকারী থানায় এসে শুধু অভিযোগই জমা দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে দরকারি সহযোগিতা করেননি।” ওই সংস্থার মার্কেটিং ম্যানেজার অভিজিত্ তা অবশ্য বলেন, “প্রাণনাশের হুমকির কথা একেবারেই মিথ্যে। আমাদের বাজার থেকে আমানত সংগ্রহ গত কয়েকমাস ধরে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। যাদের আমানতের মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে, তাঁদের টাকা ফেরত দিতে যে দেরি হবে সেকথা আমরা জানিয়েও দিয়েছি। যে ব্যক্তি থানায় অভিযোগ করেছেন, তিনিও সে কথা শুনে রাজিও হয়ে গিয়েছেন।” তবে আমানত সংগ্রহের শংসাপত্রে ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে যাঁর নাম রয়েছে সেই কৌশিক দাস বলেন, “আমি ওঁদের সঙ্গে চিকিত্সক হিসেবে যুক্ত হয়েছিলাম। আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না বুঝে ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পদত্যাগও করি। আমানতকারীদের আমার নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে মামলাও করেছি।” |