মাঠে ঢোকার মুখেই বাধা পেলেন এক কবি। কারণ, তাঁর কাছে টিকিট নেই। অপরিচিত সেই কবি দ্বাররক্ষীকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন, আজকের স্বরচিত কবিতা পাঠের আসরে তিনি আমন্ত্রিত। নাছোড় রক্ষীর এ বার পাল্টা প্রশ্ন, তা হলে আমন্ত্রণপত্রটা অন্তত দেখান। কিন্তু উদ্যোক্তারা ছাপানো আমন্ত্রণপত্র তো দেননি। পরিবর্তে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়েছেন। অগত্যা, সেটাই বের করে রক্ষীকে দেখালেন। কিন্তু রক্ষী তা মানতে নারাজ। বই মেলার ছাপ যে নেই! এটা তো যে কেউ পাঠাতে পারে। এ নিয়ে যখন তুলকালাম হয় হয়, ঠিক তখনই সেখানে হাজির হলেন সকলের মুখ চেনা এক কবি। তাঁর হস্তক্ষেপেই সমস্যা মিটল। মাঠেও ঢুকলেন কবি। সব কিছু শোনার পরে উদ্যোক্তারা লজ্জা পেলেন কি না, জানা গেল না। তবে বাকি কবিদের স্বগতোক্তি, “কবিরা কবেই বা বইমেলার মাঠে কল্কে পেয়েছেন!”
|
|
আসানসোল বইমেলার মাঠে। ছবি: শৈলেন সরকার। |
|
|
ঠান্ডায় জবুথবু বইমেলার মাঠ মাতিয়ে দিচ্ছে খুদেরা। বই পড়ুক আর না পড়ুক, বুঝুক আর না বুঝুক, মেলার মাঠে আসা চাই-ই চাই। কেউ গোটা মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কেউ বই-এর প্যকেট হাতে দুলিয়ে সমঝদারের মতো ঘুরছে। আবার কেউ নিজের মতো কাউকে খুঁজে নিয়ে কানে কানে গল্প শোনাচ্ছে। খুদেদের এই কাণ্ড দেখতে দেখে হেসে লুটোপুটি বইপ্রেমীরা। অভিভাবকেরা জানালেন, দুপুর গড়িয়ে গেলেই বইমেলার মাঠে আসার জন্য উসখুস শুরু করে দেয় ওরা। তবে মেলার মাঠে শুধু কী বইয়ের টানে আসা? বাড়ি ফেরার পথে হাতে ধরা হাওয়া মিঠাই কিন্তু অন্য কথা বলছে। |