|
|
|
|
যা টাকা দেব তাতে কাজ করো, নইলে...
|
নইলে পার্নো মিত্রর মতো অবস্থা হবে। যে অপসারণ নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় টলিউড। অনুসন্ধানে আনন্দplus। |
আগে ‘খাদ’য়ে পড়ার কথা ছিল পার্নো মিত্রর।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত পড়লেন মিমি চক্রবর্তী। হ্যাঁ, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরের ছবি ‘খাদ’য়ে বড় রদবদল হয়ে গেল। পার্নোর বদলে নেওয়া হল মিমিকে।
কিন্তু কেন? বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, এই ছবিটার জন্য পার্নো নাকি ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কাছে যে টাকা চেয়েছিলেন, তাঁরা সেটা পার্নোকে দিতে চাননি।
এই ছবি থেকে পার্নোর বাদ যাওয়া নিয়ে তাই তোলপাড় টলিউডে। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের একাংশ পার্নোর বাদ যাওয়াকে অন্য চোখেই দেখছেন। তাঁদের অনেকের সঙ্গেই কথা বলে জানা গেল, এই আগের ঘটনার পর তাঁরা নাকি পারিশ্রমিকের কথা বলতেই ভয় পাচ্ছেন প্রযোজকদের।
“পার্নোকে যে ভাবে বাদ দেওয়া হল, তাতে এটা পরিষ্কার, পারিশ্রমিকের মূল্য পছন্দ না হলে প্রযোজকেরা সোজা বাদ দিয়ে দেবেন। এটা কিন্তু যথেষ্ট ভয়ের কারণ,” বলছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিনেতা। তিনি একা নন, বহু অভিনেতারই এক অভিমত।
তা পয়সাকড়ির বনিবনা না হওয়ার জন্যই কি তাঁর বাদ যাওয়া? পার্নো কী বলছেন? “দেখুন যে টাকাটা চেয়েছিলাম সেটা ওঁরা দিতেই চাননি। আই হ্যাভ নো হার্ড ফিলিংস। আর আমি শুধু ফিন্যানসিয়াল কারণের জন্য ছবিটা করিনি, তা কিন্তু নয়। আমার ‘না’ করার পিছনে আর এক কারণ, বাবা মারা যাওয়ার পর মা একা হয়ে গিয়েছেন। এই অবস্থায় মাকে ছেড়ে কুড়ি দিন কলকাতার বাইরে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়,” বলছেন পার্নো। |
|
|
মিমি |
পার্নো |
|
অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এই ভয় নিয়ে অবশ্য বিন্দুমাত্র বিচলিত নন ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা। “দেখুন ছ’মাস আগে আমাদেরই প্রযোজনায় আর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘অপুর পাঁচালি’ ছবিতে পার্নো মিত্র দেড় লক্ষ টাকায় কাজ করেছিলেন। এই ছবির জন্য ওকে তিন লক্ষ টাকা অফার করা হয়। ছ’মাস পরে আমার মনে হয় না পার্নো এমন কিছু করেছেন যে উনি ছ’লক্ষ টাকা চাইতে পারেন। শি ডাজ নট ডিজার্ভ সিক্স লাখস্,” সাফ বলছেন শ্রীকান্ত। পার্নোর এই ছবিটা না করা নিয়ে একটু হলেও খারাপ লাগা শোনা যায় পরিচালক কৌশিকের গলায়।
“‘অপুর পাঁচালি’তে অনবদ্য কাজ করেছে পার্নো। তার পর এই রোলটা যখন ওকে অফার করেছিলাম, মনে হয়েছিল আর একটা ভাল রোল লিখলাম পার্নোর জন্য। কিন্তু ও করতে পারল না ছবিটা। এতে ‘খাদ’য়ের কোনও ক্ষতি হল না। যা ক্ষতি হওয়ার, হল পার্নোর,” বলছেন পরিচালক।
কিন্তু পরিচালক হিসেবে তিনি বলেননি পার্নোকে পারিশ্রমিক কমানোর জন্য? “হ্যাঁ, বলেছিলাম। কিন্তু এই মুহূর্তে পার্নোর কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা থাকায় ওই পরিমাণ টাকা না পেলে ওর পক্ষে রোলটা করা সম্ভব হচ্ছিল না। এখানে রাইমার কথা বলব। ও কিন্তু পরিচালক আর রোল বুঝে টাকা নেয়। আশা করব ভবিষ্যতে আমার অফার করা পারিশ্রমিকেই কাজ করবে পার্নো,” বলেন কৌশিক।
অবশ্য প্রযোজক মহলের ধারণা পার্নোর এই বাদ যাওয়ার পেছনে অন্য একটা কারণও আছে। তাঁদের মতে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এই মাত্রাতিরিক্ত পারিশ্রমিক চাওয়ার কারণ চিটফান্ডের প্রযোজকেরা। “চিটফান্ডের সময় কিছু প্রযোজক, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির ভারসাম্যটাই নষ্ট করে দিয়েছিলেন। এটায় ইন্ডাস্ট্রির সাঙ্ঘাতিক ক্ষতি হয়েছে। পার্নো মিত্রকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি সম্পূর্ণ শ্রীকান্ত মোহতাকে সমর্থন করছি,” বলছেন এসকে মুভিজের অশোক ধানুকা।
এখন দেখার প্রযোজকদের এই সঙ্ঘবদ্ধতা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কী ভাবে সামলান।
তবে ভয়ের যে একটা বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। |
|
|
|
|
|