নিয়মিত চিকিৎসকের আসেন না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বিষ্ণুপুর ব্লকের অযোধ্যা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে এমনই অভিযোগ তুলে নিয়মিত চিকিৎসক দেওয়ার দাবি জানালেন এলাকার বাসিন্দারা। বিষ্ণুপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে এই দাবি জানিয়েছেন। বিষ্ণুপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য জেলা আধিকারিক সুরেশ দাস বলেন, “ওই গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়েছি। তবে জেলায় চিকিৎসকের অভাব থাকায় এখনই সেখানে নিয়মিত সময়ের জন্য চিকিৎসক দেওয়া যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য ভবনে আমরা সমস্যাটির কথা জানিয়েছি।” গ্রামবাসীর ক্ষোভ, আশপাশের এলাকার প্রায় ১২ হাজার মানুষ ওই স্বাস্থ্যকন্দ্রের উপর নির্ভরশীল। অথচ দীর্ঘ দিন ধরে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত কোনও চিকিৎসক নেই। মাঝে মাঝে সপ্তাহে দু-একদিন বাইরে থেকে চিকিৎসক আসেন। তিনি ঘণ্টা খানেকের বেশি থাকেন না। ভরসা একজন নার্স ও একজন কম্পাউন্ডার। ফলে সাধারণ চিকিৎসার জন্যও এলাকার মানুষকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। গ্রামবাসী তারকনাথ চক্রবর্তী জানান, এলাকার প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ বিপিএল তালিকা ভুক্ত। তাঁদের পক্ষে চিকিৎসার জন্য গাড়ি ভাড়া করে বিষ্ণুপুরে যাওয়া সম্ভব নয়। সম্প্রতি বিষ্ণুপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য জেলা আধিকারিককে ৯৪ জনের স্বাক্ষরিত আবেদন দেওয়া হয়।
|
শয্যার অভাবে শীতের রাতে কনকন ঠান্ডায় মেঝেতে নবজাতকদের নিয়ে রাত কাটাতে হচ্ছে প্রসূতিদের। ধূপগুড়ি হাসপাতালের এই ঘটনা নিয়ে প্রসূতি ও রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দেড় মাস আগে ৬০ শয্যার নতুন ভবনের উদ্বোধন করে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই ভবন আজও চালু হয়নি। রোগীর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ভবনে প্রসূতিদের রাখার ব্যবস্থা করা হলে শীতের রাতে নব জাতক ও প্রসূতিদের কষ্ট পেতে হত না। পুরানো ভবনে প্রসূতিদের জন্য বরাদ্দ মাত্র আটটি শয্যা। হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ৬০ জন প্রসূতি ও নবজাতক-সহ তাদের মায়েরা হাসপাতালে রাত কাটিয়েছেন। তাদের মধ্যে আটটি শয্যায় ছিলেন ২৪ জন এবং মেঝেতে ৩২ জন রাত কাটান। ধূপগুড়ি হাসপাতালের বিএমওএইচ সাধন সরকারের কথায়, “সন্তান জন্মের পর ৪৮ ঘণ্টা মা ও শিশুকে ভর্তি রেখে নজরদারি চালাতে হয়। শয্যা কম থাকায় সমস্যা হয়েছে ঠিকই। তবে বুধবার রাতে সংখ্যাটা ১৫ এসে দাঁড়িয়েছে। আর মেঝেতে গদি পেতে শোওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর বিদ্যুতের সংযোগ কাজ শেষ করে দ্রুত নতুন ভবনটি চালু করা হবে।
|
সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল গড়ার লক্ষ্যে এক ধাপ এগোল রাজ্য সরকার। বর্তমান বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল চত্বরে ওই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল গড়ে তুলতে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। |