কর্মীর অভাবে ধুঁকছে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
একদিকে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নেই। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগেও কর্মীর সঙ্কট রয়েছে। নার্সের অনেক পদ খালি থাকায় চারটি আইসিইউ-এর মধ্যে একটিতে কাজকর্ম চলছে। সেটিও মাত্র ছয় শয্যার। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আইসিইউ-সহ ১২টি অপারেশন-থিয়েটার চালাতে ২০ জন অ্যানেস্থেটিক প্রয়োজন। কিন্তু, রয়েছেন ১০ জন। সে কারণে ছ’টির বেশি অপারেশন থিয়েটারে একসঙ্গে অস্ত্রোপচার করা যায় না।
৭৩৬ শয্যার ওই হাসপাতালে নার্সিং কলেজ, ফার্মাসিস্ট ইনস্টিটিউট, রিজিওনাল ব্লাডব্যাঙ্ক, এড্স স্ক্রিনিং সেন্টার থাকলেও, সে গুলির তদারকির কর্মী নেই। হাসপাতালে গ্রুপ-সি কর্মচারীর পদ রয়েছে ৭১টি। তার মধ্যে ২২টি পদই খালি। গ্রুপ-ডি পর্যায়ে পদের সংখ্যা ৩৯০। বর্তমানে তার মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ৭৫টি। জিএনএম নার্সদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও তীব্র। তাঁদের ৯৩টি পদের মধ্যে ৫৩টিই শূন্য।
হাসপাতালের সুপার মৃণালকান্তি দে জানিয়েছেন, কর্মীর অভাবে চিকিৎসা পরিষেবায় সমস্যা হচ্ছে। শূন্যপদ পূরণের জন্য বারবার সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু, স্থায়ীপদগুলিতে কর্মী নেওয়া হচ্ছে না। অস্থায়ীভাবে কর্মী নিয়োগ এবং পুনর্নিযুক্তির মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। স্টোর-কিপার, হিসেবরক্ষকের মতো পদে অস্থায়ী নিয়োগ ঝুঁকির বলে, অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের চুক্তি করে নিয়োগ করা হয়েছে।
মৃণালবাবু জানান, পর্যাপ্ত কর্মী থাকলে পরিষেবাও ভালো হত। তবে এই পরিস্থিতিতেও জরুরি পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না-হয়, তার জন্য ‘ইমার্জেন্সি মেডিসিন ইউনিট’ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। ৫০ কোটি টাকা খরচের ওই প্রকল্পে বার্ন ইউনিট, মাল্টিসাইজ সিটি এবং ক্যানসার রোগীদের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী গৌতম রায়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
মৃণালবাবু জানিয়েছেন, অনেক দিন ধরে নতুন নিয়োগ না-হওয়া, কর্মীর অবসর বা মৃত্যুর জেরেই শূন্যপদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। |