অভিযুক্ত এসএফআই
অধ্যক্ষকে মার বেথুয়াডহরিতে
শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যের বিরাম নেই। দিন কয়েক আগেই দফায় দফায় ছাত্র সংঘর্ষের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার পড়শি জেলা নদিয়ার বেথুয়াডহরি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অলোককুমার দাসের উপর লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই ও বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। জখম অলোককুমার দাস বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র বলেন, “বেথুয়াডহরি কলেজে এসএফআই-এর কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
হাসপাতালে অধ্যক্ষ অলোককুমার দাস।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কলেজ ভোট নিয়ে নাকাশিপাড়া বিডিও অফিসে সর্বদলীয় বৈঠক ছিল। সেখানে এসএফআই-এর তরফে ভোটার তালিকায় বেশ কিছু ভুলের অভিযোগ করা হয়েছিল। সেখানেই ঠিক হয় বৈঠক শেষে কলেজে ফিরে নির্দিষ্ট ভাবে সেই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হবে। সেই মত এসএফআই-এর সদস্যরা বেথুয়াডহরি কলেজে গেলে তাদের উপরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছেলেরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এরপরই এসএফআই-এর কয়েক জন সদস্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ঘরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সেই সময়ই তাঁকে কয়েকজন এসএফআই সমর্থক মারধর করে বলে অভিযোগ। এ দিন সন্ধ্যায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অলোককুমার দাস বলেন, “দশজন এসএফআই সমর্থক আমার গলার মাফলার ধরে টানতে টানতে ঘরের বাইরে নিয়ে এসে ওরা উইকেট, লোহার রড দিয়ে মারতে থাকে। ওদের মধ্যেই একজন আমাকে উইকেট দিয়ে কাঁধে মারে।” তিনি জানিয়েছেন, ওই দশজনের মধ্যে সাতজন ওই কলেজেরই ছাত্র। ঘটনার সমালোচনা করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অয়ন দত্ত বলেন, “কোনও কলেজে জিততে পারবে না জেনেই মরিয়া হয়ে এমন করল এসএফআই।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে এসএফআই-এর জেলা সভাপতি কৌশিক দত্ত বলেন, “অধ্যক্ষকে আমাদের কেউ মারেনি। রানাঘাট ও হরিণঘাটা কলেজে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে চাপা দিতেই এই মিথ্যে অভিযোগ।”
এবারই প্রথম নয়। ২০০৯ সালে মাজদিয়ার সুধীরঞ্জন লাহিড়ি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সরজেন্দ্রনাথ করকে মাজদিয়া স্টেশনে ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণণূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। ২০১২ সালেও তাঁকে মারধরে অভিযুক্ত হয়েছিল এসএফআই। বেথুয়াডহরি কলেজের অধ্যক্ষকে মারধরের কথা শুনে সরজেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এমন ঘটনা যেন কোনও শিক্ষকের সঙ্গে না কোনও দিন না ঘটে।”

ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.